ঢাকা-বরিশাল লঞ্চ রুটে অভিজাত লঞ্চ পারাবত- ১৮
1 min readঢাকা- বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে সার্ভিস যুক্ত রুটের সর্ব বৃহৎ অপারেটর ‘মেসার্স রাবেয়া শিপিং কোং’র নতুন ও ফ্লাগশীপ ভ্যাসেল এম.ভি পারাবত-১৮
৯০ মিটার আকৃতির বিশাল ও বিলাসবহুল এম.ভি পারাবত – ১৮ তে কি কি সুবিধা থাকছে তার বিস্তারিত জানা যাক।
ভি.আই.পি ও প্রথম শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য রয়েছে –
প্রথম শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য এসি ও নন এসি মিলিয়ে ২৭০ সিটের কেবিন বিন্যাস (সিঙ্গেল ও ডাবল) ব্যবস্থা থাকছে।বিলাসবহুল ২টি ফ্যামিলি কেবিন। সব থেকে বড় পরিসরের আধুনিক ও বিলাসবহুল ভি.আই.পি জোন থাকছে। সর্বোচ্চ ৮ টি ভি.আই.পি কেবিন রয়েছে যার প্রতিটি এ্যাটাস বাথ ও বারান্দা সহ এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এবং পুরো ভি আই পি লাউঞ্জ সেন্টাল এসির নিয়ন্ত্রণে থাকছে।
৩টি ক্যাটাগরীতে সাজানো হয়েছে সিঙ্গেল কেবিন –
১. সিঙ্গেল ২. সিঙ্গেল সিলভার (মাঝারী) ৩. সিঙ্গেল গোন্ড (বড়)। যা একে বারেই নতুন ভাবে সর্ব প্রথম এম.ভি পারাবত – ১৮ তে .
সুপ্রশস্থ স্টেইট বারান্দা রিভার সাইড ও ইন সাইড।
৪র্থ তলায় মাস্টার ব্রীজের পেছনে রিভার সাইড ব্যাসিস আধুনিক মানের রেস্টুরেন্ট। যা আপনার ভ্রমনে ভিন্ন এক রসদ যোগ করবে। কেবিন ও ডেক উভয় শ্রেনীর যাত্রীরা এই রেস্টুরেন্ট উপভোগ করতে পারবে।
প্রথম শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য মোট ১৯ টি টয়লেট। (ভি আই পি জোন আলাদা)।
আধুনিক সুসজ্জিত মানের একাধিক বেসিন সেটিংস।
৩য় তলায় কেবিন যাত্রীদের জন্যে কফি সপ।
২য় তলায় নামাজের জন্যে সুসজ্জিত মসজিদের ব্যবস্থা।
সুবিশাল খোলা ছাঁদ যা সকল শ্রেনীর যাত্রী দের জন্যে উন্মুক্ত থাকবে।
৩য় তলায় সিড়ি ও সিড়ির পাশে থাকছে বিশেষ চমক। রয়েছে গ্লাস ব্যাসিস স্যাডো লাইটিং সিস্টেম। (যা বাংলাদেশে নৌযান সেক্টরে প্রথম)
ডেক যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত মোবাইল ফোন চার্জের ব্যবস্থা।ডেক স্পেসে মোট ১০ টি টয়লেট এবং নামাজের জন্যে ওযু করার ব্যবস্থা।টি – স্টল ও বিবিধ খাবারের আইটেম নিয়ে স্টল।সুবিশাল খাবার হোটেল। বিনোদনের জন্য এল ই ডি টিভি।
ইঞ্জিন রুমের বিষয়বস্তু তে যা থাকছে –
মূল ইঞ্জিন : ২টি, আকাসাকা ব্রান্ড (জাপান)। ধরন : লো আর পি এম।
হর্স পাওয়ার : ২২০০ (প্রত্যেকটি)
আরপিএম : ২৮০ (প্রতিটি)সিলিন্ডার : ৬টি
প্রপেলার : ২টি।
গিয়ার বক্স : ১ঃ১.১ (চায়না)
জেনারেটর : ৪টি (ব্যাক আপ ২টি)।
নিরাপদে নৌযান পরিচালনার জন্যে মাষ্টার ব্রীজে যা থাকছে –
মেকানিক্যাল ও ইলেক্ট্রো হাহড্রোলিক সুকান সিস্টেম। রাডার সিস্টেম। জিপিএস সিস্টেম। ইকো সাউন্ডার সিস্টেম। ভি.এইচ.এফ সিস্টেম
কম্পাস সহ জরুরী ও প্রয়োজনীয় সকল ইকুইপমেন্ট। সিকিউরিটি ব্যবস্থা হিসেবে যা থাকছে – পুরো নৌযানটি থাকবে সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। একাধিক অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র। লাইভ বয়া সহ সকল কিছুই।