চার পাণ্ডবের ক্যারিশমায় বাংলাদেশের বড় সংগ্রহ
1 min readপঞ্চপাণ্ডবের মাশরাফি বিন মর্তুজা নেই। তাতে কী? বাকি চার পাণ্ডব তো আছেন! চট্টগ্রামে ওই চারজনই মিলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তুলোধুনো করলেন। শুরুতে হাল ধরলেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। দুজনের ব্যাট থেকেই আসে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস। শেষ দিকে গিয়ে ফিনিশিংয়ের দায়িত্বটা নেন অন্য দুই অভিজ্ঞ তারকা মুশফিকুর রহীম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
সিনিয়র চার তারকা পরিস্থিতি বুঝে কখনও ধীর, কখনও গতির সঞ্চার করেছিলেন বাংলাদেশ ইনিংসে। তাতেই সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টাইগাররা পেয়েছে ৬ উইকেটে ২৯৭ রানের বড় সংগ্রহ। এই মাঠে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ।
হোয়াইটওয়াশ এড়িয়ে ওয়ানডে সুপার লিগে পয়েন্টের খাতা খুলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে লক্ষ্য ২৯৮ রানের। আগের দুই ম্যাচে যথাক্রমে ১২২ ও ১৪৮ রানে অলআউট হওয়া ক্যারিবীয়দের জন্য ২৯৮ রান রীতিমতো পাহাড়সম লক্ষ্য। তাদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে সাগরিকায় হওয়া সবশেষ ওয়ানডে ম্যাচটি। যেখানে আগে ব্যাট করে ২৮৬ রান করেছিল জিম্বাবুয়ে, যা মাত্র ৪২.১ ওভারেই তাড়া করে ফেলেছিল বাংলাদেশ দল।
তবে বছর তিনেক আগে হওয়া সেই ম্যাচের উইকেট ও কন্ডিশনের সঙ্গে আজকের পার্থক্য অনেক, যা বোঝা গেছে বাংলাদেশ ইনিংসের শুরুর দিকে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম পাওয়ার প্লেটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে টাইগাররা। প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেট হারালেও, স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ৫৩ রান। এরপর কমতে থাকে রানের গতি। পরের ২০ ওভারে আসে মাত্র ৮৪ রান।
আগের দুই ম্যাচের মতোই হতাশ করেন দুই তরুণ লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান লিটন। দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে ৩৭ রান যোগ করে কাইল মায়ারসের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে ধরা পড়েন ৩০ বলে ২০ রান করা শান্ত।
দুই তরুণ ব্যর্থ হলেও, পরে চার অভিজ্ঞই তুলে নিয়েছেন নিজেদের ব্যক্তিগত ফিফটি। ইনিংসের শুরুতে বেশ সাবলীল ছিলেন তামিম। একপর্যায়ে তিনি মাত্র ২৭ বলে করেন ২৮ রান। এরপর যেন বন্দি হয়ে যান খোলসে। পঞ্চাশে যেতে খেলেন ৭০ টি বল । যেখানে ছিল মাত্র দুটি চারের মার। ফিফটি পূরণের ঠিক পরের বলেই নিজের ট্রেডমার্ক ইনসাইড আউট শটে হাঁকান ইনিংসের প্রথম ছক্কা। যদিও ইনিংসটি বেশি বড় করতে পারেননি টাইগার অধিনায়ক।