চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে একাধিক লঘুচাপ, একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে
1 min readকয়েক দিনের স্বস্তি শেষে ফের বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। আগামী কিছুদিন তাপমাত্রা আরো বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সাগরও গরম হয়ে ওঠায় দেখা দিয়েছে লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা। ফলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা বেড়েছে।
ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রা আরো বাড়ার আভাস রয়েছে। বঙ্গোপসাগরের পৃষ্ঠদেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বেশ। ফলে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস রয়েছে।
লঘুচাপ আরো ঘণীভূত হয়ে প্রথমে নিম্নচাপ, আরো শক্তি সঞ্চয় করলে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। আবর সাগরে ইতোমধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়ে গুজরাট উপকূল অতিক্রম করার পর্যায়ে রয়েছে।
২০২০ সালে ২০ মে’র দিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্ফান কোলকাতাসহ দক্ষিণ ভারত লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে যায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর এবারও দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দু’টি নিম্নচাপের সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে বেশির ভাগ লঘুচাপই ঘূর্ণিঝড় তো দূরের কথা নিম্নচাপেও পরিণত হয় না।
আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান জানান, আগামী পাঁচদিনের শেষের দিকে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি জানান, বর্তমানে আবহাওয়া যে অবস্থায় রয়েছে এতে মঙ্গলবার (১৮ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
অন্যদিকে সীতাকুণ্ড, রাঙামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, মাজঈদীকোর্ট, ফেনী, রাজশাহী, পাবনা ও তাড়াশ অঞ্চলসহ ঢাকা, খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটা অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এসময় ঢাকায় দক্ষিণ-পশ্চিম দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৮ থেকে ১৫ কিমি, যা দমকায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি পর্যন্ত উঠে যেতে পারে।
এদিকে তাপপ্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে কোথাও কোথাও ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় বেড়েছে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ। সোমবার বাতাসে জলীয়বাষ্পের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৬২ শতাংশ। ফলে বেড়েছে ভ্যাপসা গরম।
এদিন দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে টাঙ্গাইলে, ৩০ মিলিমিটার। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৭ মিলিমিটার।