চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে মাঠে গড়ালো না এক বলও
1 min readসেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুব একটা উন্নত নয়। আপাতত বৃষ্টি না থাকলেও কেবল ভেজা আউটফিল্ড ঠিক করতেই গলদঘর্ম হতে হচ্ছে মাঠকর্মীদের।
ফলে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে এক বলও মাঠে গড়ায়নি। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় লাঞ্চ বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিরতির এক ঘণ্টা পর আবার মাঠ পরিদর্শন করবেন আম্পায়াররা।খেলা না হলেও অবশ্য অস্বস্তির কিছু নেই বাংলাদেশের। এই টেস্টে বলতে গেলে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে সাকিব আল হাসানের দল। চতুর্থ দিনে লক্ষ্য একটাই, কোনোমতে ইনিংস হারটা এড়ানো যায় কি না। ৪ উইকেট হাতে নিয়ে ইনিংস পরাজয় এড়াতে আরও ৪২ রান করতে হবে সফরকারীদের।
ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ১৩২ রান। প্রথম ইনিংসে সাকিব আল হাসানের দল গুটিয়ে গিয়েছিল ২৩৪ রানে। পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪০৮ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে নেয় ১৭৪ রানের লিড।
১৭৪ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামার পর তামিমদের কাছ থেকে যেটুকু ধৈর্য্য আশা করেছিল সবাই, তার ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি। বরং কেমার রোচের ইনসুইংগার-আউটসুইংগার বাছবিচার না করে শট খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
মাত্র ৮ বল খেলে ৪ রান করে দলীয় ৪ রানের মাথায় উইকেট বিলিয়ে দেন তামিম। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে জুটি বাঁধেন মাহমুদুল হাসান জয়। কয়েকটি ভালো শট, কয়েকটি আলগা শটও খেলেন তিনি। রোচকে ৭ম ওভারের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি মারার পরের বলেই তার ইনসুইংগার বলটিকে ঠেকাতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে বসেন।বল চলে যায় থার্ডম্যানে জার্মেই ব্ল্যাকউডের হাতে। ১৩ রান করে আউট হয়ে যান জয়। দলীয় ৩২ রানের মাথায় কেমার রোচের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন এনামুল হক বিজয়। তার দুর্দান্ত ডেলিভারিতে হলেন এলবিডব্লিউ। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি আট বছর টেস্টে ফেরা বিজয়।
মাত্র ৪ রান করে আউট হন বিজয়। তিনি আউট হতে না হতেই নামে বৃষ্টি এবং খেলা বন্ধ হয়ে যায় এ সময়। বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও বদলায়নি বাংলাদেশের ভাগ্য। একপ্রান্তে নাজমুল শান্ত আশা দেখালেও হতাশ করেন সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসরা।
বছরের শুরু থেকে দারুণ ফর্মে থাকা লিটন সাজঘরে ফিরে যান ১৬ রান করে, সাকিব থামেন ব্যক্তিগত ১৯ রানে। দারুণ খেলতে থেকে ফিফটি আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত আলগা শটে আউট হন ৪২ রান করা শান্ত। ১১৮ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সেখান থেকে ইনিংস পরাজয় এড়ানোর মিশনে ব্যাটিং শুরু করেন নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদি হাসান মিরাজ। সোহান ১৬ রান নিয়ে খেলতে নামবেন। মিরাজ এখনও রানের খাতা খুলতে পারেননি।