November 23, 2024

ফরচুন নিউজ ২৪

কোরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে এফটিএ’র প্রস্তাব বাণিজ্যমন্ত্রীর

1 min read

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্রই শুধু নয়, গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদারও। কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের।

রোববার সচিবালয়ের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তার অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং কিউনের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।  বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ইলেক্ট্রনিক এবং অন্যান্য সেক্টরে কোরিয়ার বিনিয়োগ রয়েছে উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, বেশকিছু কোরিয়ান কোম্পানি এসব সেক্টরে কাজ করছে। এ বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি করার সুযোগও রয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি পৈাশাক কোরিয়ায় রপ্তানি হচ্ছে। এ রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ থাকায় বাংলাদেশ কোরিয়ায় রপ্তানি বৃদ্ধি করতে আগ্রহী।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির কারণেই উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি থাকা প্রয়োজন। এতে করে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। এজন্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করা যেতে পারে।

এ সময় কেরিয়ান রাষ্ট্রদূত বলেন, বিগত দশ বছরে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করেছে। এই উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। বাংলাদেশের সঙ্গে কোরিয়ার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। কোরিয়ার বেশ কিছু কোম্পানি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ইলেক্ট্রনিক পণ্যসহ বেশকিছু সেক্টরে কাজ করছে।

বাংলাদেশ সফলভাবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে উল্লেখ করে লি জাং কিউন বলেন, কোরিয়া বাংলাদেশে গাড়ি তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য বৃদ্ধি করছে। কোরিয়া মনে করে, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান।

এ মতবিনিময় সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মো. মাহবুবুল হক এবং বাংলাদেশে কোরিয়ান দূতাবাসের ফাষ্ট সেক্রেটারি ইয়াংমিন সিও উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২০২০-’২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৩৯৮ দশমিক ৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য কোরিয়ায় রপ্তানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ১,১২৬ দশমিক ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *