করোনায় মৃত্যু ২৫ লাখ ছুঁই ছুঁই
1 min readপ্রতিদিনই করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩৩৯ জন। আর শনাক্ত হয়েছেন ১১ কোটি ২৬ লাখ ৩৮ হাজার ৪৪৬ জন।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এদিকে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস থেকে বিশ্বব্যাপী সুস্থ হয়েছেন ৮ কোটি ৮২ লাখ ২৫ হাজার ৪৬৮ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৫ লাখ ১৪ হাজার ৯৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বে সর্বোচ্চ শনাক্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ২ কোটি ৮৮ লাখ ৯৭ হাজার ৭১৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। দেশটিতে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৯২ লাখ ১২ হাজার ৫১৭ জন।
এদিকে, করোনা শনাক্তের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় শনাক্তের সংখ্যা ১ কোটি ১০ লাখ ২৯ হাজার ৩২৬ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৯৮ জন। মৃত্যু বিবেচনায় দেশটি বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
করোনাভাইরাসে শনাক্তের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। ল্যাটিন আমেরিকার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার ৬২১ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৬৪৬ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৯২ লাখ ১৫ হাজার ১৬৫ জন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের দিক থেকে রাশিয়া চতুর্থ স্থানে রয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ লাখ ৮৯ হাজার ১৫৩ জন। মারা গেছেন ৮৪ হাজার ৪৭ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৩৭ লাখ ৩৯ হাজার ৩৪৪ জন।
আক্রান্ত বিবেচনায় পঞ্চম স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৩৯ জন। মারা গেছেন ১ লাখ ২১ হাজার ৩০৫ জন। আর ২৬ লাখ ৬ হাজার ৯৯ জন সুস্থ হয়েছেন।
ফ্রান্স ষষ্ঠ, স্পেন সপ্তম, ইতালি অষ্টম, তুরস্ক নবম ও জার্মানি দশম স্থানে রয়েছে। আর বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে তা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। এরপর গত ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।