“প্রতি টন ১৩০০ ডলার হয়ে গিয়েছিল। সেটা এখন ৮০০ থেকে ৮৫০ ডলারে পাওয়া গেছে। চুক্তির কারণে কমে পাওয়া গেছে।”
এদিন বৈঠকে কানাডা, কাতার, মরক্কো ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ইউরিয়া, ডিএপি ও টিএসপি সারের একাধিক লট কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) প্রস্তাবে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য ইউরিয়া সার কিনতে কাতারের সঙ্গে জিটুজি চুক্তি নবায়ন করার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এর ফলে কাতারের মুনতাজাত কোম্পানি থেকে বিভিন্ন লটে ৬ লাখ ৩০ হাজার টন সার আসবে।
ক্রয় কমিটির বৈঠকে বিসিআইসির আরেক প্রস্তাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার ১৭৯ কোটি ২১ লাখ ১১ হাজার ২০০ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। তাতে প্রতিকেজি ইউরিয়া সারের দাম দাঁড়াচ্ছে ৫৯ টাকা ৭৩ পয়সা।
একই সঙ্গে মরক্কোর ওসিপি থেকে ষষ্ঠ লটে প্রতিকেজি ১০৫ টাকা দরে ৪২০ কোটি ৪৪ লাখ টাকায় ৪০ হাজার টন ডিএপি এবং একই কোম্পানির কাছ থেকে সপ্তম লটে প্রতিকেজি ৮৪ টাকা দরে ২৫২ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার টাকায় ৩০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয় ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রতি কেজি ইউরিয়া আমদানিতে গড়ে ৯৬ টাকা, টিএসপি ৭০ টাকা, এমওপি ৫৪ টাকা ও ডিএপিতে ৯৩ টাকা ব্যয়ের প্রাক্কলন করেছে।
এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের আমদানি মূল্য ছিল ৩২ টাকা, টিএসপি ৩৩ টাকা, এমওপি ২৩ টাকা, ডিএপি ৩৭ টাকা।
আর ভুর্তকি দিয়ে সরকার কৃষক পর্যায়ে ১৬ টাকা কেজি দরে ইউরিয়া, ২২ টাকা কেজি দরে টিএসপি, ১৫ টাকা কেজি দরে এমওপি এবং ১৬ টাকা কেজি দরে ডিএপি সার বিক্রি করছে।