ঐতিহাসিক মুজিবনগরে ৬ শতাধিক ভাস্কর্যের নিরাপত্তা বাড়ল
1 min readমহান মুক্তিযুদ্ধের ৬ শতাধিক ভাস্কর্য রয়েছে ঐতিহাসিক মুজিবনগরে। তবে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনের ঢিলেঢালা ব্যবস্থা। ঐতিহাসিক মুজিবনগরে রয়েছে বঙ্গবন্ধুসহ মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ৬ শতাধিক ভাস্কর্য। এই নিদর্শনগুলোর নিরাপত্তায় নেই কোন সিসি ক্যামেরা। প্রশাসন বলছে, কুষ্টিয়ায় ভাস্কর্য ভাঙচুরের পর বাড়নো হয়েছে নিরাপত্তা। কাজ চলছে সিসিটিভি স্থাপনের।
১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল মুজিবনগরে শপথ নেয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার। এখানেই পাঠ করা হয় স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। দেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী হিসাবেও ঘোষণা করা হয় মুজিবনগরকে।
দেশ স্বাধীনের পর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগুলো সংরক্ষণে নেয়া হয় নানা পদক্ষেপ। ১৯৮৮ সালে নির্মাণ করা হয় স্মৃতিসৌধ। বর্তমানে কমপ্লেক্স চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, মুজিবনগর সরকারের শপথগ্রহণ, হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণসহ ৬শতাধিক ভাস্কর্ষ ও ম্যুরাল রয়েছে।
তবে কমপ্লেক্স ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকার অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয়রা জানায়, পুরো মুজিবনগরকে সিসিটিভির আওতায় এনে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হোক। এই ভাস্কর্যগুলো রক্ষা করার জন্য সার্বক্ষনিক সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটর করার আহ্বান জানাচ্ছি।
তবে, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন সরকার বলেন, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনার পর পুরো এলাকায় নেয়া হয়েছে ৪ স্তরের নিরাপত্তা। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আমাদের এসব স্থাপনার জন্য নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছেন।
ভাস্কর্যের নিরাপত্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে, জানান গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শম্ভু রাম পাল। তিনি বলেন, ভাস্কর্যগুলো নিরাপত্তার জন্য অনেক আগে থেকেই আনসার সদস্যরা নিয়োজিত ছিলেন। ইদানিং পুলিশ সদস্যও নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কাজও চলমান আছে।
ঐতিহাসিক মুজিবনগরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্নগুলোর নিরাপত্তায় দ্রুত ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন, এমন প্রত্যাশা স্থানীয়দের।