November 23, 2024

ফরচুন নিউজ ২৪

এমপিওভুক্তির ২৫০ কোটি টাকা ফেরত নিয়ে ধোঁয়াশা!

1 min read

চলতি অর্থবছরের নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির কাজ। যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ করে তিন মাস আগে চূড়ান্ত হয় খসড়া তালিকা। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘উদাসীনতায়’ তা প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। ফলে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ২৫০ কোটি টাকা ফেরত যেতে পারে অর্থ মন্ত্রণালয়ে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে এমপিওভুক্তির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং বরাদ্দ অর্থ ফেরত দিতে হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জন্য ৩২ হাজার ৪১৩ কোটি ৬৮ লাখ ৯০ হাজার এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য নয় হাজার ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে নতুন স্কুল-কলেজ এমপিওভুক্তির জন্য ২০০ কোটি আর কারিগরি-মাদরাসা এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ৫০ কোটি টাকা। কিন্তু চলতি অর্থবছরের মধ্যে এমপিওভুক্তির কাজ শেষ করতে পারেননি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে দুই হাজারের কিছু বেশি নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির কাজ গত বছরের শেষ দিকে শুরু হয়। এর মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় ১৭শ, স্কুল অ্যান্ড কলেজ পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রায় ১৫০টি, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের কলেজ প্রায় ১০০ এবং ডিগ্রি স্তরের কলেজ প্রায় ১০০টি। মাদরাসা ও কারিগরি বিভাগের অধীনে ঠিক কতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হচ্ছে তা জানা যায়নি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মে মাসের প্রথমার্ধেই নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষামন্ত্রী তালিকা চূড়ান্ত না করায় সেটি পিছিয়ে গেছে। এমপিওভুক্তির সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দেওয়ার পরই শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে। তবে তিনমাস ধরে শিক্ষামন্ত্রী এমপিওভুক্তির তালিকা প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন করেননি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি অর্থবছর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দ রয়েছে ২০০ কোটি টাকা এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে বরাদ্দ ৫০ কোটি টাকা। পাশাপাশি ২০১৯ সালে সবশেষ দেওয়া এমপিওভুক্তির পর ওই খাতে প্রায় ৪২৫ কোটি টাকা অব্যয়িত ছিল। সেটা ২৫০ কোটি টাকার সঙ্গে যোগ করে এমপিওভুক্তি করার কথা থাকলেও তা সম্ভব হচ্ছে না।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *