এবার ভার্চুয়ালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেবেন প্রধানমন্ত্রী
1 min readকে হবেন ২০১৯ সালের সেরা নায়ক-নায়িকা? সেরা পরিচালক হিসেবে কার হাতে উঠবে স্বীকৃতি? সেরা ছবির স্বীকৃতিটাই বা কোন ছবির ভাগ্যে জুটবে? তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গত ৩ ডিসেম্বরই জানা গেছে সে তথ্য। নিশ্চিত হওয়া গেছে, ২০১৯ সালের জন্য মোট ২৬টি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হবে।
এবার জানা গেছে, আগামী ১৭ জানুয়ারি বসবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। সেদিন সকাল সাড়ে ১০টায় চলচ্চিত্র শিল্পে গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শিল্পীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হবে। তবে করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে অনুষ্ঠানে স্বশরীরে উপস্থিত থাকবেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালে অংশ নেবেন এই আয়োজনে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. সাইফুল ইসলাম (চলচ্চিত্র)। তিনি বলেন, “অন্যান্যবারের মতো এবারও রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৯’ প্রদানের আসর বসবে। তবে করোনার বিধিনিষেধ মেনে চলা হবে। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালে অংশ নেবেন।”
এবার সেরা সিনেমা হিসেবে দ্বৈতভাবে পুরস্কার ঘরে তুলবে ‘ন ডরাই‘ ও ‘ফাগুন হাওয়ায়’। তবে পুরস্কার জয়ে চমক দেখিয়েছেন চলচ্চিত্র পরিচালক মাসুদ পথিক। চলতি বছর তার পরিচালিত ‘মায়া- দ্য লস্ট মাদার’ ছবিটি সর্বোচ্চ আটটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছে। ছয়টি বিভাগে পুরস্কার পাচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্স প্রযোজিত সিনেমা ‘ন ডরাই’। তিনটি করে পুরস্কার পাচ্ছে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ‘ফাগুন হাওয়ায়’ ও দেশ বাংলা মাল্টিমিডিয়ার ‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’ সিনেমাটি।
একনজরে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯’ বিজয়ীর তালিকা
আজীবন সম্মাননা : মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) ও কোহিনূর আক্তার সুচন্দা
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র : ন ডরাই ও ফাগুন হাওয়ায়
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র : নারী জীবন
শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র : যা ছিলো অন্ধকারে
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক : তানিম রহমান অংশু (ন ডরাই)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা : তারিক আনাম খান (আবার বসন্ত)
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী : সুনেরাহ বিনতে কামাল (ন ডরাই)
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা : ফজলুর রহমান বাবু (ফাগুন হওয়ায়)
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী : নারগিস আক্তার (মায়া- দ্য লস্ট মাদার)
শ্রেষ্ঠ খল অভিনেতা : জাহিদ হাসান (সাপলুডু)
শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী : নাইমুর রহমান আপন (কালো মেঘের ভেলা) ও আফরীন আক্তার (যদি একদিন)
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক : মোস্তাফিজুর রহমান ইমন (মায়া- দ্য লস্ট মাদার)
শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক : হাবিবুর রহমান (মনের মতো মানুষ পাইলাম না)
শ্রেষ্ঠ গায়ক : মৃণাল কান্তি দাস (তুমি চাইয়া দেখো- শাটল ট্রেন)
শ্রেষ্ঠ গায়িকা : মমতাজ বেগম (বাড়ির ওই পূর্বধারে- মায়া- দ্য লস্ট মাদার) ও ফাতিমা-তুয যাহুরা ঐশী (মায়া, মায়ারে- মায়া- দ্য লস্ট মাদার)
শ্রেষ্ঠ গীতিকার : নির্মলেন্দু গুণ (ইস্টিশনে জন্ম আমার- কালো মেঘের ভেলা) ও কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী (চল হে বন্ধু- মায়া- দ্য লস্ট মাদার)
শ্রেষ্ঠ সুরকার : প্লাবন কোরেশী (বাড়ির ওই পূর্বধারে- মায়া দ্য লস্ট মাদার) ও তানভীর তারেক (আমার মায়ের আঁচল- মায়া দ্য লস্ট মাদার)
শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার : মাসুদ পথিক (মায়া-দ্য লস্ট মাদার)
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার : মাহবুব উর রহমান (ন ডরাই)
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা : জাকির হোসেন রাজু (মনের মতো মানুষ পাইলাম না)
শ্রেষ্ঠ সম্পাদক : জুনায়েদ আহমেদ হালিম (মায়া- দ্য লস্ট মাদার)
শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক : মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বসু ও ফরিদ আহমেদ (মনের মতো মানুষ পাইলাম না)
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক : সুমন কুমার সরকার (ন ডরাই)
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক : রিপন নাথ (ন ডরাই)
শ্রেষ্ঠ পোষাক ও সাজ-সজ্জা : খন্দকার সাজিয়া আফরিন (ফাগুন হাওয়ায়)
শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান : রাজু (মায়া- দ্য লস্ট মাদার)