উৎসব উদযাপনে প্রস্তুত হচ্ছে পদ্মাপাড়
1 min readআর মাত্র তিনদিন বাকি। দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের পদ্মা সেতুর দ্বার উন্মোচন হবে। রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হবে দক্ষিণাঞ্চলের পদ্মা বিধৌত জনপদ। এখন শুধু সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষা।
ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর জনসভাস্থলে শেষ পর্যায়ে রয়েছে মঞ্চ তৈরির কাজ। লাখ লাখ মানুষের জন্য তৈরি করা হচ্ছে নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠান উপভোগের ব্যবস্থা। পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে ৫শ টয়লেট, থাকছে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা। নদী পথে আসা মানুষের জন্য তৈরি করা হচ্ছে ২০টি পল্টুন। সব মিলিয়ে পদ্মাপাড়ে বইছে উৎসবের আমেজ।
এদিকে শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, জনসভায় অংশ নিতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ নিজ উদ্যোগে নেতা-কর্মী, সাধারণ লোকজন নিয়ে জনসভায় অংশ নেবে। উপজেলার শিরুয়াইল, দত্তপাড়া, নিখলী, বহেরাতলা এলাকার জন্য আড়িয়াল খাঁ নদীতে কমপক্ষে ৫০টি লঞ্চ থাকছে। লঞ্চে করে জনসভায় অংশ নেবে এই এলাকার লোকজন। এছাড়া ৫ শতাধিক বাসসহ সকল প্রকার যানবাহন থাকছে জনসভায় অংশ নেওয়ার জন্য।
শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের একাধিক ব্যক্তি জানান, আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এখন যেন সময় যেতেই চাচ্ছে না। ২৫ তারিখের জন্য অপেক্ষায় আছি। জনসভার মঞ্চ প্রস্তুতসহ চারপাশ সাজানো হচ্ছে। আলোকসজ্জা করা হচ্ছে। এ এক অন্য রকম আনন্দ!
ষাটোর্ধ্ব মো. আবুল হাসেম নামের পদ্মাপাড়ের এক বাসিন্দা বলেন, পদ্মায় সেতু হতে পারে এমন ভাবনা কল্পনাতেও ছিল না। ঝড়-বৃষ্টি, বর্ষায় ঢাকা যাওয়া ছিল এই এলাকার মানুষের কাছে সবচেয়ে কঠিন এবং কষ্টের। আমাদের এলাকায় তেমন রাস্তাঘাট ছিল না। এক পদ্মা সেতু পাল্টে দিয়েছে এই এলাকার চিত্র। আগে আমাদেরকে ‘গাঁও-গেরামের’ লোক বলতো। এখন এই এলাকায় অসংখ্য লোকজন ঘুরতে আসে। জমজমাট সব জায়গা। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।
আহসান নামের কাওড়াকান্দি এলাকার এক যুবক বলেন, সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান দেখতে বাড়ি চলে এসেছি। সেতু চালুর পর সেতুর উপর দিয়ে ঢাকায় যাব।
মো. ইসমাইল নামের পদ্মা পাড়ের গ্রাম চরজানাজাত এলাকার এক যুবক বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে আমাদের উচ্ছ্বাসের শেষ নেই। এক বুক আবেগ পদ্মা সেতু নিয়ে। জনসভা হবে আমাদের শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে। পদ্মার পাড়েই। আমাদের এলাকায় উৎসবের আমেজ বইছে।
২৫ জুন শনিবার। রাজধানী ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন দ্বার উন্মোচন হবে। উদ্বোধনকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে মঞ্চ, নতুন সাজে সজ্জিত হচ্ছে জনসভাস্থল। থাকছে ৬ দিনব্যাপী মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক আয়োজন। আর এসব ঘিরেই মানুষের মনে বিশেষ করে পদ্মাপাড়ের মানুষের ঘরে বইছে উৎসব!