ইসলাম খেদমতে আ’ লীগ সরকারের অবদান অত্যন্ত প্রশংসনীয়: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
1 min readধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, ইসলাম ও মুসলমানদের খেদমতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ইসলামের খেদমতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় একসাথে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাস বিরল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন স্থাপন করছেন। মুজিব বর্ষে ১০০টি মসজিদ উদ্বোধন করা হবে। শনিবার (১৩ মার্চ) পিরোজপুরের নেছারাবাদ ছারছিনা মাদ্রাসা মাঠে মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আল কোরআন ডিজিটাইজেশন (আল কোরআন : ডিজিটাল), ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন লাইব্রেরি ভবন নির্মাণ সম্পন্ন করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সরকার হজ ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল সুবিধা চালু করেছে। হজে গমনেচ্ছু ব্যক্তিগণ অনলাইনে হজের প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারছেন। Makkah Route Initiative Framework-এর আওতায় সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশেই সম্পন্ন হচ্ছে। সরকার জেদ্দা হজ টার্মিনালে ‘বাংলাদেশ প্লাজা’ স্থাপন করেছে। ঢাকা আশকোনা হজ ক্যাম্পের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছে।
ফরিদুল হক খান বলেন, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে আলেম-ওলামাদের কর্মসংস্থান, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা এবং কোরআন শিক্ষা কার্যক্রমে মহিলাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতিতে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্তি, কওমী শিক্ষার্থীদের দাওরায়ে হাদিস সনদকে মাস্টার্স সমমান প্রদান, ১০০০টি বেসরকারি মাদ্রাসায় একাডেমিক ভবন নির্মাণ, ৮০টি মাদ্রাসায় অনার্স কোর্স চালুকরণ,
ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করে ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি তাঁর আন্তরিকতাপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসন আমলে ইসলামের প্রচার ও প্রসারে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা, জাতীয় পর্যায়ে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা) পালন, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড পুনর্গঠন (পূর্বে স্বায়ত্তশাসিত মাদ্রাসা বোর্ড ছিল না), বিশ্ব ইজতেমার জন্য টঙ্গীতে জায়গা বরাদ্দ, কাকরাইলের মারকাজ মসজিদ সম্প্রসারণের জন্য জমি বরাদ্দ, হজ পালনের জন্য সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা ), শব-ই- কদর ও শব-ই-বরাত উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা এবং উল্লিখিত দিনগুলোতে সিনেমা হলে সিনেমা প্রদর্শন বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করেছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু মদ, জুয়া, হাউজি ও অসামাজিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধকরণ ও শাস্তির বিধান করেছিলেন। তিনি রেসকোর্স ময়দানে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা বন্ধ করেন, রাশিয়াতে প্রথম তাবলীগ জামাত প্রেরণের ব্যবস্থা, আরব ইজরাইল যুদ্ধে আরব বিশ্বের পক্ষে সমর্থন ও সাহায্য প্রেরণ, ওআইসি সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন, সমুদ্রপথে হজযাত্রীদের জন্য জাহাজ ক্রয়, বেতার ও টিভিতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন।
ফরিদুল হক খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য বিষয়ের ন্যায় ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর পথ অনুসরণ করে জাতির পিতার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
ছারছীনা দরবার শরীফের পীর শাহ মোঃ মুহিব্বুল্লাহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন ধর্ম সচিব মোঃ নুরুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অভ্ গভর্নরস এর গভর্নর ড. মাওলানা মোঃ কাফিলুদ্দিন সরকার। বিশাল এ মাহফিলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে লাখ লাখ মুসল্লি ও ভক্তগণ অংশগ্রহণ করেন।