ইউক্রেন যুদ্ধে ১০ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত
1 min readইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এছাড়া শত শত শিশু আহত বা নিহত হয়েছে বলেও জানানো হয়। খবর আল জাজিরার।
জাতিসংঘের অফিস অব দ্য হাই কমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস (ওএইচসিএইচআর) তাদের প্রতিদিনের আপডেটে জানিয়েছে, গত ১৬ জুন পর্যন্ত রাজধানী কিয়েভে ৪ হাজার ৫০৯ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও ৫ হাজার ৫৮৫ জন। নিহতদের মধ্যে ২৯৪ জন শিশুও রয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি ইউক্রেন দাবি করেছে যে, তারা পশ্চিমাঞ্চলে ন্যাটোর সরবরাহ করা অস্ত্রের গুদাম ধ্বংস করে দিয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, তাদের সেনারা ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় লভিভ শহরে একটি অস্ত্রের গুদামে হামলা চালিয়েছে।
ন্যাটোর সদস্য দেশগুলো কিয়েভকে যে অস্ত্র সহায়তা দিয়েছিল সেগুলো এবং প্রচুর পরিমাণে গোলাবারুদ ওই গুদামে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ওই গুদাম ধ্বংস করা হয়েছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় এখন পর্যন্ত তিন শতাধিক শিশু নিহত হয়েছে। দেশটির প্রসিকিউটররা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি কিয়েভে হামলা চালায় রাশিয়া। দুপক্ষের মধ্যে সংঘাত এখনও চলছে।
যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যেই ইউক্রেন ছেড়েছে লাখ লাখ মানুষ। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এক কোটি ৩০ লাখের বেশি ইউক্রেনীয় তাদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
বাস্তুচ্যুত এসব মানুষের মধ্যে ৫০ লাখের বেশি প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। অভ্যন্তরীণভাবে স্থানান্তর ঘটেছে আরও ৮০ লাখ মানুষের। তবে কয়েক মাসের ব্যবধানে অনেকেই আবার বাড়িতে ফিরে গেছেন, বিশেষ করে রাজধানী কিয়েভে।
জাতিসংঘের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ৯ জুন পর্যন্ত ইউরোপে ৪৯ লাখ শরণার্থী প্রবেশের সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩২ লাখের বেশি অস্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করেছেন। জানা গেছে, পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন ১১ লাখ ৫২ হাজার ৩৬৪ জন ইউক্রেনীয়। রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন ১১ লাখ ৩৬ হাজার ২৪৩ জন।
রোমানিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন ৮৯ হাজার ৯৭৪ জন। মলদোভায় ৮৬ হাজার ২৫৪ জন আশ্রয় নিয়েছেন। স্লোভাকিয়ায় ৭৭ হাজার ৩৩০ জন এবং বেলারুশে ৮ হাজার ২৭ জন আশ্রয় নিয়েছেন। অন্যরা তাদের নিজস্ব গন্তব্যে চলে গেছেন, বিশেষ করে যারা পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ায় প্রবেশ করেছেন। এই দেশগুলোর অন্যান্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্ত খোলা রয়েছে।