ইউক্রেন ইস্যুতে ভারতে এসেও বিফল জাপানের প্রধানমন্ত্রী
1 min readইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর কারণে রাশিয়াকে নিন্দা জানাতে প্রবল চাপ দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের কয়েকটি দেশ। একই দাবি নিয়ে নয়াদিল্লি এসে বিফল হলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি খবর দিচ্ছে, শনিবার মোদি-কিশিদার বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসে রাশিয়ার নিন্দা করা তো দূরে কথা দেশটির নাম পর্যন্ত মুখে আনেননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর চেষ্টা সত্ত্বেও রাশিয়া ইস্যুতে আগের অবস্থানেই অনড় রইলের নরেন্দ্র মোদি।
ভারতের গণমাধ্যমে খবর এসেছে, কিশিদা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেন ইস্যুতে তার গভীর আলোচনা হয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার মৌলিক ভিত্তি নড়ে গেছে। বিষয়টি সবাইকে কঠোরভাবে নিতে হবে।
তবে পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসে মোদি রাশিয়া কিংবা ইউক্রেন কোনও নামই উল্লেখ করেননি। যদিও ভারতের প্রধানমন্ত্রী শিগগিরই সংঘাত বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। তবে তা আলোচনা ও কূটনীতি দিয়ে করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলেই নিজের অবস্থান জানিয়েছেন মোদি।
পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত সামরিক ও জ্বালানি খাতে রাশিয়ার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর। সম্প্রতি তৈরি হওয়া নতুন ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তা জোট কোয়াডেও যোগ দিয়েছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জাপান বৈশ্বিক রাজনীতির নতুন ধারার এই জোটের সদস্য। তারা ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার নিন্দা জানাতে ভারতকে চাপে রেখেছে। ইউক্রেনে যুদ্ধ চলার মধ্যেই জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার নয়াদিল্লি সফর সেই চাপ বাড়ানোর অংশ বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশের পর ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ সেনারা। তিন সপ্তাহ ধরে চলা এই যুদ্ধে কমপক্ষে ৮৪৭ জন বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এছাড়া প্রাণে বাঁচতে দেশটি থেকে অন্তত ৩০ লাখ মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে শরণার্থী হয়েছে বলে জানাচ্ছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক দূতাবাস।