আশা জাগিয়েও দিল্লিকে জেতাতে পারলেন না মোস্তাফিজ
1 min readঝড় তুলে আউট হলেন কুইন্টন ডি কক। শেষ ৪ ওভারে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের দরকার ২৮ রান, হাতে তখনও ৭ উইকেট। দিল্লি ক্যাপিটালসের হার বলতে গেলে নিশ্চিত হয়ে গেছে তখনই।
এমন সময়ে মোস্তাফিজুর রহমান দ্বিতীয় স্পেলে এসে আশা জাগালেন। ১৭তম ওভারে দিলেন মাত্র ৪ রান। কিন্তু নিজের পরের ওভারে আর চাপটা ধরে রাখতে পারেননি ফিজ। একটি ছক্কা হজম করে বসেন, দিয়ে দেন ১৪।
লখনৌর লক্ষ্য ছিল ১৫০ রানের। গত ম্যাচের মতো এবারও মোস্তাফিজকে দিয়ে বোলিং আক্রমণ শুরু করেন দিল্লি অধিনায়ক রিশাভ পান্ত। টাইগার পেসার শুরুটা ভালোই করেন। প্রথম ওভারে দেন মাত্র ৫ রান।
এর মধ্যে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার অ্যানরিচ নরকিয়ার ওপর চড়াও হন কুইন্টন ডি কক। টানা তিন বাউন্ডারির পর একটি ছক্কাসহ ওই ওভারে ১৯ রান তুলে নেন লখনৌ ওপেনার।
কঠিন চাপের মুহূর্তে ফের মোস্তাফিজকে ডাকেন পান্ত। এবার আরও ভালো বল করেন কাটার মাস্টার। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে একটি ওয়াইডসহ মাত্র ৩ রান খরচ করেন তিনি।
কিন্তু ১৯তম ওভারে ১৪ রান খরচ হয়ে যায় ফিজের। সবমিলিয়ে ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে টাইগার পেসার ছিলেন উইকেটশূন্য। আগের ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
১৫০ রানের লক্ষ্যে উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ শুরু পায় লখনৌ। কুইন্টন ডি কক আর লোকেশ রাহুল ৫৮ বলে তোলেন ৭৩ রান। এর মধ্যে অবশ্য ডি ককেরই মূল অবদান।
ধীরগতিতে এগোচ্ছিলেন রাহুল। শেষ পর্যন্ত দশম ওভারে তাকে সাজঘর দেখিয়ে জুটিটি ভাঙেন কুলদ্বীপ যাদব। ২৫ বলে লখনৌ অধিনায়ক করেন ২৪।
তবে ডি কক ফিফটি তুলে নেন ৩৬ বলেই। এর মধ্যে এভিন লুইসকে (৫) ফিরিয়ে কিছুটা চাপ তৈরি করেন ললিত যাদব। কিন্তু ডি কক চালিয়ে খেলতেই থাকেন।
অবশেষে ১৬তম ওভারের শেষ বলে বাঁহাতি এই ব্যাটারকে আউট করেন কুলদ্বীপ। তবে ততক্ষণে বলতে গেলে ম্যাচ বের হয়ে গেছে দিল্লির হাত থেকে।
ডি কক যখন ফিরছেন, ২৪ বলে লখনৌর দরকার তখন ২৮ রান। ৫২ বলে ডি ককের ৮০ রানের ঝড়ো ইনিংসটিতে ছিল ৯ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কার মার।
এরপর মোস্তাফিজের বোলিংয়ে নাটকীয়তা তৈরি হলেও শার্দুল ঠাকুরের শেষ ওভারে আয়ুস বাদোনি এক ছক্কা আর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলেন। ৩ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন এই তরুণ।
এর আগে ৩ উইকেটে ১৪৯ রানেই থামে দিল্লির ইনিংস। শেষ পর্যন্ত উইকেটে ছিলেন দুই সেট ব্যাটার রিশাভ পান্ত আর সরফরাজ খান। কিন্তু শেষ ১৮ বলে মাত্র ১৯ রান নিতে পারেন তারা।
অথচ টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমত উড়ন্ত সূচনা করেছিলেন পৃথ্বি শ। ডেভিড ওয়ার্নারকে নিয়ে ৪৫ বলের উদ্বোধনী জুটিতে তিনি তোলেন ৬৭ রান, যেখানে ৬১ রানই পৃথ্বির। ৩৪ বলে ৯ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় এই ঝড়ো ইনিংস খেলেন দিল্লি ওপেনার।
তবে পৃথ্বি আউট হওয়ার পর রবি বিষ্ণুই টানা দুই ওভারে ডেভিড ওয়ার্নার (৪) আর রভম্যান পাওয়েলকে (৩) হঠাৎ বিপদে পড়ে দিল্লি।
৭৪ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে এরপর এগিয়ে নিয়েছেন রিশাভ পান্ত আর সরফরাজ খান। তাদের জুটিতে বেশ ভালোই রান উঠছিল।
১৬তম ওভারে পান্ত তো অ্যান্ড্রু টাইকে দুই ছক্কা আর এক বাউন্ডারি হাঁকান। ওই ওভারে আসে ১৮ রান। তার পরের ওভারে সরফরাজ খানের দুই বাউন্ডারিতে ১৩।
এভাবে খেলতে পারলে পুুঁজিটা খুব সহজেই ১৭০ পার হয়ে যেতো। কিন্তু শেষ তিন ওভারে এসে কেমন যেন খেই হারিয়ে ফেলেন পান্ত-সরফরাজ।
জেসন হোল্ডারের করা ১৮তম ওভারে আসে ৬ রান, আভেশ খানের ১৯তম ওভারেও ৬। এরপর হোল্ডারের ইনিংসের শেষ ওভারে মাত্র ৭ রান তুলতে পারেন পান্ত আর সরফরাজ।