আমাশয় সারাতে কার্যকরী কচু
1 min readপরিচিত সবজিগুলোর মধ্যে কচু অন্যতম। কচু এবং কচুর শাক দুটোতেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ,বি,সি,ক্যালসিয়াম ও লৌহ। ভিটামিন এ জাতীয় খাদ্য রাতকানা প্রতিরোধ করে আর ভিটামিন সি শরীরের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।
কচু দামেও বেশ সস্তা এবং সহজলভ্য। তাই ভিটামিন ও আয়রনের চাহিদা পূরণের জন্য কচু খেতে পারেন নারীরা। জ্বরের সময় রোগীকে দুধ কচু রান্না করে খাওয়ালে দ্রুত আরোগ্য হয়। কোনো পরিচর্যা ছাড়াই রাস্তার পাশে, বাড়ির আনাচে কানাচে, পতিত জমিতে কচু গাছ হতে দেখা যায়।
বেশ অযত্নেই বেড়ে ওঠে এই সবজিটি। বর্তমানে এর চাহিদা বেশি থাকায় কচু যত্ন করে চাষ করা হয়। বর্ষাকালে নানা রকম কচু বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। কচু বিভিন্ন জাতের হয়। বন জঙ্গলে যে সমস্ত কচু দেখা যায় তাদের বুনো কচু বলে। আর বুনো কচুর অনেকগুলো জাত আছে যা খাওয়া যায় না। খাবার উপযোগী জাতগুলো হল, মুখী কচু, পঞ্চমুখী কচু, মান কচু, ওল কচু ইত্যাদি। জানেন কি? দুইশ বছর আগের এই সবজিটি স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারী। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এর উপকারিতা-
> কচুর মূল উপাদান হল আয়রন, যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রেখে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক রাখে।
> কচু কান ও গলার রুক্ষতা দূর করে।
> এটি আমাশয় রোগে বিশেষ উপযোগী।
> কচুর ডাঁটায় প্রচুর পরিমানে পানি থাকে,তাই গরমের সময় কচুর ডাঁটায় রান্না করে খেলে শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ হয়।
> কচুতে আছে প্রচুর ফাইবার, ফোলেট ও থায়ামিন যা মানব শরীরের জন্য অনেক দরকারি উপাদান।
> কচু খেলে রক্তের কোলেস্টরল কমে তাই উচ্চরক্ত চাপের রোগীদের জন্য ওল কচুর রস বেশ উপকারী।
> নিয়মিত কচু খেলে কোলন ক্যান্সার ও ব্রেষ্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
> কচুতে আছে অক্সলেট নামক উপাদান। তাই কচু শাক বা কচু খেলে অনেক সময় গলা চুলকায়। তাই কচু রান্না করার সময় লেবুর রস বা সিরকা ব্যবহার করা উচিত।