আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস আজ
1 min readআজ ১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সুশাসনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, ‘এই সুশাসন শুধু সরকারিভাবে নয়। বিভিন্ন স্টেক হোল্ডার আছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আছে, এনজিও আছে, সুশীলসমাজ আছে, রাজনীতিবিদ আছেন- তাদের নিয়েই এই সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সবাই মিলেই দেশটাকে এগিয়ে নিতে হবে। এই সুশাসনের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাও একটি টেকসই ব্যবস্থাপনা হবে। তার ওপর ভিত্তি করে টেকসই বাংলাদেশ হবে।’
গতকাল আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এবার মূল অনুষ্ঠান হবে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ১৩ অক্টোবর সকাল ১০টায় ওসমানী উদ্যানে ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২০’ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দিবসটি পালন উপলক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভা, পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে টকশো, সড়কদ্বীপ সজ্জা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ইত্যাদি রয়েছে।
এবারের অনুষ্ঠানের কিছু বিশেষ দিক আছে জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ হাজার ৫০৫ জন নারী স্বেচ্ছাসেবীর (সিপিপি ভলান্টিয়ার) সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে নারীর ক্ষমতায়নও প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। প্রধানমস্ত্রী ওসমানি মিলনায়তনের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সিপিপিতে স্বেচ্ছাসেবীদের অন্তর্ভুক্তকরণ উদ্বোধন করবেন।
চলতি অর্থবছরে ১৭ হাজার ৫০০ পরিবারকে দুর্যোগ সহনীয় ঘর দেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেটিও তিনি উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, বাংলাদেশের কোনও মানুষ গৃহহীন থাকবে না। সে উপলক্ষে একটি তালিকাও করা হয়েছে। সেখানে আট লাখ ৮৩ হাজার ৩৩টি পরিবারের তালিকা করা হয়েছে। যাদের ভূমি নাই তাদের ২ শতাংশ ভূমি দেওয়া হবে এবং পাকা ঘর করে দেওয়া হবে। আর যাদের ভূমি আছে কিন্তু ঘর নাই, তাদের ঘর করে দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ৫৯ হাজার ঘর নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঘর তৈরির কাজ খুব শিগগিরই শুরু হবে। যারা ঘর পেয়েছেন তাদের মধ্যে থেকে তিন জনের অভিজ্ঞতা শুনবেন প্রধানমন্ত্রী।