অ্যাপেন্ডিক্স এর ব্যথা কিনা বুঝে নিন ৭ লক্ষণে
1 min readপেটে একটু ব্যথা করলেই গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা মনে করে ওষুধ খেয়ে নেন। খুব বেশি পাত্তা না দিয়ে এড়িয়ে যাই। এরপর পোহাতে হয় নানান সমস্যা। সব ব্যথাই তো আর গ্যাসের নয়। অনেক সময় ভয়ঙ্কর রোগের আলামত হিসেবেও এই ব্যথা দেখা দেয়। অ্যাপেন্ডিক্স এর ব্যথাকে অনেকেই স্বাভাবিকভাবে দেখে দেরি করে ফেলেন। এজন্য ঘটতে পারে মারাত্মক বিপদ।
বৃহদান্ত্র এবং ক্ষুদ্রান্ত্রের সংযোগস্থলে বৃহদান্ত্রের সঙ্গে যুক্ত একটি ছোট থলির মতো অঙ্গটিকে অ্যাপেন্ডিক্স বলা হয়। মূলত অ্যাপেন্ডিক্স আমাদের শরীরের একটি অকেজো অঙ্গ। বিশ্বের প্রায় ৫ শতাংশ মানুষের প্রাণ যায় এই অ্যাপেন্ডিক্স এর সময়মতো চিকিৎসা না হওয়ায়। অ্যাপেন্ডিক্সের এই সমস্যাটি অ্যাপেনডিসাইটিস নামে পরিচিত।
খুব সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে দেরি হয়ে গেলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আপনি মুক্তি পেতে পারেন। এতো সব ঝামেলায় যেতে না চাইলে আগে থেকেই সতর্ক হোন। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথার মধ্যে অনেকটা তফাৎ আছে। কয়েকটি লক্ষনেই বুঝতে পারবেন এটি অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা কিনা।
চলুন জেনে নেয়া যাক সেসব-
> অ্যাপেন্ডিক্স হলে তল পেটের ডান দিকে ব্যথা শুরু হবে। নাভির চারিদিক থেকে ব্যথাটা ক্রমশ তল পেটের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
> অনেক সময় তলপেট ফুলে ওঠে। তবে শুরুর দিকে ব্যথা কম হবে। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই ব্যথা বাড়তে থাকে। খাবার খেলেই ব্যথা বেড়ে যায়।
> এ সময় জ্বর আসার সম্ভাবনা থাকে। তবে সবার ক্ষেত্রে জ্বর আসে না। শরীরের তাপমাত্রা হেরফের করে।
> খাবারে অরুচি এবং হজমে সমস্যা হয়। সেখান থেকে শুরু হয় বমি।
> কিছুক্ষেত্রে রোগীর পেট খারাপও হতে পারে। হাঁটাচলা করলে, বসে ওঠার সময়, অথবা সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় ব্যথা হতে পারে।
> ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যাওয়া এর অন্যতম লক্ষণ।
> অ্যাপেন্ডিক্স কোনো কারণে ফেটে গেলে সারা পেট জুড়ে মারাত্মক ব্যথা অনুভূত হয় এবং পেট ফুলে ওঠে।
শরীরের অবাঞ্চিত অঙ্গ অ্যাপেন্ডিক্সকে পাত্তা না দিলে প্রাণ সংশয় হতে পারে। তাই ব্যথা সম্পর্কে অবগত হন। এসব লক্ষণ দেখা দিলে দেরি করা যাবে না। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।