১০ লাখ টাকা পেলেন ফ্রিজ কিনে মৌলভীবাজারের গৃহিণী!
1 min readএবার ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন মৌলভীবাজারের গৃহিণী গয়না বেগম। ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ৭’ এ দেয়া ‘মিলিয়নিয়ার ও অসংখ্য লাখপতি’ শীর্ষক সুবিধার আওতায় ১০ লাখ টাকা পান তিনি। এর আগে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে আরো অনেক ক্রেতা ১০ লাখ টাকা করে পেয়েছেন।
সম্প্রতি মৌলভীবাজারে ওয়ালটন প্লাজা শ্রীমঙ্গল রোড শাখায় গয়না বেগমের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হয়। সেসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহুর রহমান, ওয়ালটনের মৌলভীবাজার জোনের এরিয়া ম্যানেজার সুমন রয় চৌধুরী, প্লাজা ম্যানেজার হাসিবুল হাসান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৭ চালাচ্ছে ওয়ালটন। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন এবং মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন ১০ লাখ টাকা। রয়েছে লাখপতি হওয়ার সুযোগসহ কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। ইতোমধ্যেই ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার ও লাখপতি হয়েছে অসংখ্য ক্রেতা।
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে গয়না বেগম জানান, তার বাড়ি রাজনগর উপজেলার চান্দবাগে। তিন মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে বেশ কষ্টে দিন কাটে তাদের। সন্তানদের ভবিষ্যত গড়ার আশায় স্বামীকে এ বছর কাতার পাঠিয়েছেন। সম্প্রতি ফ্রিজ কেনার জন্য তার স্বামী কিছু টাকা পাঠান। শ্রীমঙ্গল রোডের ওয়ালটন প্লাজা থেকে মাত্র ২০ হাজার ৭’শ টাকায় একটি ফ্রিজ কেনেন তিনি। এরপর প্রতিষ্ঠানটির ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে। যা দেখে আনন্দে কেঁদে ফেলেন গয়না বেগম।
তিনি বলেন, ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় স্বামীকে বিদেশ পাঠিয়েছি। কিন্তু দেশের একটি কোম্পানি আমাদের জন্য সৌভাগ্য নিয়ে এলো। ওয়ালটন থেকে পাওয়া এই টাকায় সন্তানদের ভবিষ্যত গড়ার পাশাপাশি মাটির ঘর ভেঙ্গে পাকা ঘর তৈরি করবো। ওই বাড়ির নামফলকে ‘সৌজন্যে ওয়ালটন’ লিখে রাখবো।
ওয়ালটন ফ্রিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুর রহমান মল্লিক জানান, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল ফোন নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। আর এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে মিলিয়নিয়ারসহ নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারের সুযোগ দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় বাজারে ওয়ালটনের রয়েছে শতাধিক মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট, ডিপ ফ্রিজ ও বেভারেজ কুলার। দাম মাত্র ১০,৯৯০ টাকা থেকে ৮০,৯০০ টাকার মধ্যে। ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি এবং ৫ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবা দিচ্ছে ওয়ালটন। দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে রয়েছে ৭৪টি সার্ভিস সেন্টার।