সুন্দরবনের বাঘের শরীরে প্রথমবার বসানো হবে স্যাটেলাইট কলার বা ট্রান্সমিটার
1 min readসুন্দরবনের বাঘের শরীরে প্রথমবার বসানো হবে স্যাটেলাইট কলার বা ট্রান্সমিটার। মোবাইল সিমের মতো ছোট ডিভাইস বসবে বাঘের শরীরে। বনে বাঘের সংখ্যা বাড়ানো, অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা ও বনে বাঘের সমবণ্টন এর অন্যতম লক্ষ্য। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাঘ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে। বনের যে স্থানে বাঘ নেই বা কম আছে সে স্থানে স্থানান্তরের জন্যও ব্যবহার করা হবে আধুনিক এ প্রযুক্তি।
সুন্দরবনে বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩৬ কোটি টাকা। প্রাথমিকভাবে দুটি বাঘের শরীরে স্যাটেলাইট কলারিং স্থাপনে খরচ করা হবে আড়াই কোটি টাকা। বাঘের ইকোলোজিক্যাল ট্রান্সফার প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য।
স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার স্থানান্তর প্রসঙ্গে বন অধিদপ্তরের উপ প্রধান বন সংরক্ষক (বন ব্যবস্থাপনা উইং) মো. জাহিদুল কবির বলেন, ‘সুন্দরবনে ১১৪টি বাঘ আছে। এমন অনেক স্থান আছে যেখানে শুধু মেল (পুরুষ) বাঘ রয়েছে কিন্তু ফিমেল (স্ত্রী) বাঘ নেই। সুতরাং, বনের অন্য স্থান থেকে মেল বাঘ স্থানান্তর করা হবে। প্রথমে স্থানান্তর করা হবে এক জোড়া বাঘ। সেই জোড়া বাঘের শরীরে স্যাটেলাইট কলার বা ট্রান্সমিটার স্থাপন করা হবে। এই স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার ছোট একটা সিমের মতো। যা বাঘের শরীরে প্রবেশ করানো হবে। এদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হবে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। বাঘ জোড়া যে স্থানে ছেড়ে দেওয়া হলো সেখানে আছে কি না আমরা সব সময় নজরদারি করতে পারবো। কারণ আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্থানে যদি বাঘ না থাকে তবে বাঘশূন্য হবে সেই এলাকা। এতে বাঘ অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।’
স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার স্থানান্তর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সুন্দরবনে সব জায়গায় বাঘের সংখ্যা সমান নয়। বাঘের সংখ্যা বাড়াতে জেনেটিক ভ্যারিয়েবেলিটি (জিনগত পরিবর্তনশীলতা) থাকা দরকার। যত জেনেটিক ভ্যারিয়েবেলিটি থাকবে ততই বাঘের সংখ্যা বাড়বে। এজন্য এক জোড়া করে বাঘ ট্রান্সফার করবো বিভিন্ন স্থানে। স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানোর অন্যতম কারণ এটি।
স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার স্থানান্তরে বাঘের শরীরে কোনো সমস্যা হবে কি না জানতে চাইলে মো. জাহিদুল কবির বলেন, এটা ছোট একটি মোবাইল সিমের মতো। বাঘের শরীরে সামান্য একটু অংশ কেটে প্রবেশ করানো হবে। এতে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না।