সারাদেশে করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু আজ
1 min readসারাদেশে আজ শুরু হচ্ছে করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচি। রাজধানীসহ সারাদেশে মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে এ কার্যক্রম। প্রথম দিনই টিকা নিবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী।
গতকাল শনিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম। প্রথম দিন টিকা নিতে সোয়া ৩ লাখের বেশি মানুষ নিবন্ধন করেছেন বলেও জানান তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক জানান, রাজধানী ঢাকাতে ৫০টি হাসপাতালে ২০৪টি টিম কাজ করবে, সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালে দুই হাজার ১৯৬টি টিম কাজ করবে। মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে ২ হাজার ৪০০টিম কাজ করবে। এছাড়াও ভ্যাকসিন বিষয়ক কার্যক্রমের জন্য টিম প্রস্তুত রয়েছে সাত হাজার ৩৪৪টি। শনিবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত করোনা টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন তিন লাখ ২৮ হাজার ১৩ জন।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে। গত নভেম্বরে এই টিকার তিন কোটি ডোজ পেতে সেরামের সঙ্গে চুক্তি হয় বেক্সিমকোর। যার মধ্যে ৫০ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসেছে গত ২৫ জানুয়ারি। এর আগে গত ২০ জানুয়ারি দেশে আসে ভারত সরকারের উপহার দেওয়া ২০ লাখ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন।
প্রতিটি মানুষকে দুই ডোজ করে দেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ অর্থাৎ ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৪৭ হাজার ৫০৮ জন মানুষকে এই টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের। এছাড়াও, বাংলাদেশ গ্যাভি-কোভ্যাক্স থেকে ৬৮ মিলিয়ন বা ৬ কোটি ৮০ লাখ (প্রতিজন দুই ডোজ) ডোজ করোনার ভ্যাকসিন পাচ্ছে।
গত ২৭ এবং ২৮ জানুয়ারি দেশের পাঁচটি হাসপাতালে ৫৬৭ জনকে প্রাথমিকভাবে টিকা দেওয়া হয় । তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করা হয় এতদিন। কোনও গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এই ৫৬৭ জনের মধ্যে দেখা যায়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
গত ২৭ জানুয়ারি দেশে প্রথম করোনা টিকা প্রদান শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।