April 20, 2025

ফরচুন নিউজ ২৪

সর্বপ্রথম করোনার কার্যকরী ভ্যাকসিন তৈরি করে আলোচনায় মুসলিম দম্পতি

উগার শাহিন ও উজলেম তুরেসি। সবার আগে করোনার কার্যকর ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে এখন সারা বিশ্বে আলোচনায় মুসলিম এই দম্পতি। ২০০৮ সালে ক্যান্সার চিকিৎসায় জার্মানিতে বায়োএনটেক প্রতিষ্ঠা করেন তারা। এতোদিন ইউরোপের বাইরে খুব একটা পরিচিত না হলেও করোনার ভ্যাকসিন আবিস্কার করে রাতারাতি বিশ্বখ্যাত হয়ে উঠেছেন। প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন এই বিজ্ঞানী দম্পতি।

করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী বায়োএনটেকের প্রতিষ্ঠাতা উগার শাহিনের ব্যক্তিগত জীবন খুবই সাদামাটা। ব্যবহার করেন না কোন গাড়ি, থাকেন সাধারণ ফ্লাটে। ছুটতে পছন্দ শুধু কাজের পেছনে।

তার সাফল্যে সারথি স্ত্রী উজলেম তুরেসি। ২০০১ সালে জার্মানিতে দু’জনে গড়ে তোলেন গ্যানিমেড ফার্মাসিউটিক্যালস। এর পর ২০০৮ সালে ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য বায়োএনটেক প্রতিষ্ঠা করেন তারা। ইউরোপের বাইরে প্রতিষ্ঠানটির তেমন পরিচিতি না থাকলেও ভ্যাকসিন আবিস্কারের খবরে রাতারাতি বিশ্বখ্যাত মুসলিম এই দম্পতি।

শাহিন-তুরেসি দুই জনই তুর্কি বংশোদ্ভূত। ছোট বেলায় আভিবাসী হিসেবে ইস্কেন্দেরুন থেকে পরিবারের সাথে জার্মানিতে পাড়ি জামান ৫৫ বছর বয়সী উগার শাহিন। আর ৫৩ বছর বয়সী স্ত্রী উজলেম তুরেসির জন্ম জার্মানিতেই। ১৯৯৩ সালে পিএইচডি গবেষণার সুবাদে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসাপাতালে দুজনের পরিচয়। তারপর ২০০২ সালে বিয়ে।

এই বিজ্ঞানী দম্পতি এতোটাই কাজ পাগল যে বিয়ের দিনও আনুষ্ঠানিকতা সেরে হাজির হয়েছেন ল্যাবে। তাদের দিনরাত গবেষণার সবচে বড় সাফল্য করোনার ভ্যাকসিন।

বায়োএনটেক’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উগার শাহিন বলেন, এটি সম্পূর্ণ নতুন একটি ভাইরাস। তাই অনেকটা অন্ধের মতোই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করি। প্রথম দিকে খুবই চ্যালেঞ্জের ছিলো। ১০ মাসের মধ্যে সাফল্য ধরা দিয়েছে। যা আশানুরুপ খুব দ্রুত হয়েছে।

করোনা বড় পরিসরে ছড়ানোর আগে জানুয়ারিতেই ভ্যাকসিনের গবেষণা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন যৌথভাবে উৎপাদনের জন্য চুক্তি করেছে বিশ্ববিখ্যাত ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার। প্রতিষেধকটি মানব শরীরে ৯৫ ভাগ কার্যকর বলে দাবি করা হয়েছে।

About The Author