November 22, 2024

ফরচুন নিউজ ২৪

লুব-রেফ বাংলাদেশের আইপিও অনুমোদন

1 min read

শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের মাধ্যমে তালিকাভুক্তির জন্য বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণ হওয়া ‘বিএনও’ ব্র্যান্ডের লুব-রেফ বাংলাদেশের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

আজ বুধবার বিএসইসির ৭৪৯তম নিয়মিত সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

, লুব-রেফ বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। যা ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও আইপিওজনিত ব্যয়ে ব্যবহার করা হবে।

লুব রেফ ১৫০ কোটি টাকা তোলার জন্য বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৪ কোটি ৫২ লাখ ৪৩ হাজার ১৪৪ টি সাধারণ শেয়ার প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ইস্যুর লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির প্রসপ্রেক্টাস প্রকাশ করার প্রস্তাব অনুমােদন করেছে।

পাবলিক ইস্যু রুলস অনুযায়ি, বিডিংয়ে কাট-অফ প্রাইস থেকে উপরে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা যে দর প্রস্তাব করবেন, সেই দরে শেয়ার নিতে হবে। যাতে করে লুব-রেফের কাট-অফ প্রাইস ৩০ টাকা হলেও এর উপরে দর প্রস্তাবকারীদেরকে তাদের প্রস্তাবিত দরেই শেয়ার কিনতে হবে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬০ টাকা করে দর প্রস্তাব করা এশিয়া ইন্স্যুরেন্সকে ওই দরেই শেয়ার কিনতে হবে। এমনটির কারনে গড় শেয়ার ইস্যু দর কাট-অফ প্রাইসের থেকে বেশি হবে।

কোম্পানিটির বিডিংয়ে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ৮৮ কোটি ৯২ লাখ ১৬ হাজার ৮০০ টাকার জন্য ২ কোটি ২৬ লাখ ২১ হাজার ৫৪৪টি শেয়ার ইস্যু করা হবে। অর্থাৎ যোগ্য বিনিয়োগকারীরা গড়ে প্রতিটি শেয়ার কিনবেন ৩৯.৩০ টাকা করে।

অন্যদিকে পাবলিক ইস্যু রুলসের বিধান অনুযায়ি, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) সাধারন বিনিয়োগকারীদের জন্য কাট-অফ প্রাইসের থেকে ১০ শতাংশ ডিসকাউন্টে শেয়ার ইস্যু করা হবে। এ হিসাবে আইপিওতে প্রতিটি শেয়ার ২৭ টাকা করে ইস্যু করা হবে। এ জন্য সাধারন বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৬১ কোটি ৭ লাখ ৮৩ হাজার ২০০ টাকা সংগ্রহের জন্য ২ কোটি ২৬ লাখ ২১ হাজার ৫৪৪টি শেয়ার ইস্যু করা হবে। অর্থাৎ সাধারন বিনিয়োগকারীদের কাছে গড়ে প্রতিটি শেয়ার ২৭ টাকা করে বিক্রি করা হবে।

লুব-রেফের কাট-অফ প্রাইস নির্ধারনের জন্য গত ১২ অক্টোবর বিকাল ৫টায় নিলাম শুরু হয়। যা শেষ হয় ১৫ অক্টোবর বিকাল ৫টায়। নিলামে সর্বনিম্ন ১৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬০ টাকায় দর প্রস্তাব করেন অংশগ্রহণকারীরা। সবচেয়ে বেশি ১৪ জন করে ২৫ টাকা ও ৫৫ টাকা করে দর প্রস্তাব করেছেন। এরপরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ জন ২৭ টাকায় দর প্রস্তাব করেছেন।

কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট।

 

About The Author