মেডিকেল প্রশ্নফাঁস চক্রের মাস্টারমাইন্ড গ্রেপ্তার
1 min readসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের দুই ‘মাস্টারমাইন্ড’কে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। সিআইডি বলছে, এই চক্র ২০১৩ ও ২০১৫ সালের সরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টালের প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছিল। চক্রটির মূল মাস্টারমাইন্ড হলো স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর মেশিনম্যান আব্দুস সালাম। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুস সালাম জানায়, এই চক্রের সঙ্গে পাঁচ-ছয় জন অসাধু চিকিৎসক এবং তিন-চারটি কোচিং সেন্টার জড়িত আছে।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম। তিনি বলেন, গত ১৯ জুলাই মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় মেডিক্যালের প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দেওয়ার মাস্টারমাইন্ড জসিম উদ্দিন এবং তার সহযোগী জাকির হোসেন দিপু ও পারভেজ খানকে। এরপর (২০ জুলাই) মিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করে সিআইডি সাইবার পুলিশ। তদন্তকালে প্রশ্ন ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে মূল মাস্টারমাইন্ড স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর মেশিনম্যান আব্দুস সালামের নাম।
গতকাল সোমবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর বনশ্রী এলাকা থেকে আব্দুস সালামকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলায়। ২০১৫ সালে তার নামে একটি হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আসায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় তাকে।
যেভাবে প্রশ্ন চুরি
বিশেষ পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম আরও বলেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা বোর্ডের মেশিনম্যান আব্দুস সালাম খুব কৌশলে ছাপার কাজ চলার সময় একটি প্রশ্ন সরিয়ে ফেলে। পরবর্তীতে তার খালাতো ভাই প্রশ্ন ছড়ানোর আরেক মাস্টারমাইন্ড জসিম উদ্দিন টাকার বিনিময়ে একটি বড় চক্রের মাধ্যমে মেডিক্যালে ভর্তি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দেয়।
৩৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট
সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, জসিমের ৩৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে। তার কাছ থেকে দুই কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক, দুই কোটি ২৭ লাখ টাকা সঞ্চয়পত্র এবং তার সহযোগী পারভেজের কাছ থেকে ৮৪ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া জসিমের স্ত্রী শিল্পীরও ১৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে সিআইডি। তার ব্যাংকেও তিন কোটি ১৮ লাখ টাকা জমা আছে।
১০ দিনের রিমান্ড আবেদন
আশরাফুল আলম জানান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর মেশিনম্যান সালামের ১০ দিনের রিমান্ড চাইবো আমরা। রিমান্ডে এনে তার কাছ থেকে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করেন এ বিশেষ পুলিশ সুপার।