মুহূর্তেই খুশখুশে কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায়
1 min readউত্তরের হিমেল হাওয়া জানান দিচ্ছে শীতের আমেজ। দিনে গরম আর সন্ধ্যা হলেই শীত শীত অনুভূতি। এই কখনো ঠান্ডা কখনো গরম থাকার কারণে দেখা দিচ্ছে শারীরিক নানা সমস্যা। এর মধ্যে সর্দি কাশি অন্যতম। বিশেষ করে খুশখুশে কাশি হচ্ছে অনেকেরই। যা খুবই বিরক্তিকর এবং অস্বস্তির কারণ।
এর আরো অনেক কারণ থাকতে পারে। যেমন দূষণ এবং ধুলাবালি, যার ফলে খুসখুসে কাশি খুব স্বাভাবিক বিষয়। তাই গলা ঠিক রাখতে, এই সময় কাশি থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া কয়েকটি পদ্ধতি মেনে চলুন। এতেই মুক্তি পাবেন এই অস্বস্তিকর খুশখুশে কাশি থেকে।
মধু
ঠান্ডা লাগা থেকে মুক্তি দিতে অসাধারণ এক দাওয়াই মধু। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস, অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকে। যা গলায় জমা সর্দি দূর করতে সাহায্য করে। গলা খুশখুশ করলে চায়ের সঙ্গে দু’চামচ মধু বা গরম পানি ও লেবুর সঙ্গে দু’চামচ মধু খেলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।
লবণ পানি
লবণ পানিতে গার্গলের টোটকা জানেন না এমন মানুষ কমই আছেন। এটি ফুসফুসে মিউকাস নষ্ট করে, পাশাপাশি ন্যাসাল প্যাসেজ পরিষ্কার হয়। কাশি থাকলে এক কাপ ঈষৎ উষ্ণ পানিতে ১/৪ চা চামচ লবণ দিয়ে, তা দিয়ে গার্গল করলে খুব তাড়াতাড়ি উপশম মিলবে। শিশুদের ক্ষেত্রে এটি প্রয়োগ না করাই ভালো। কেননা শিশুরা গার্গল করতে গিয়ে লবণ-পানি খেয়ে ফেলে।
ইউক্যালিপটাস অয়েল
ইউক্যালিপটাস এসেনশিয়াল অয়েলও এ ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। তাড়াতাড়ি ফল পেতে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে বুকে ও গলায় মালিশ করলে উপশম মিলতে পারে। ইউক্যালিপটাস এসেনশিয়াল অয়েলের স্টিম নিলেও নাক ও গলা পরিষ্কার করে যায়।
পুদিনা চা
কাশতে কাশতে গলা ব্যথা হয়ে গেলে পুদিনা সেই ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। দিনে ২ থেকে ৩ বার পুদিনা দিয়ে বানানো চা খেলে কাশিও কমতে পারে, গলা ব্যথাও বা অস্বস্তিতেও উপশম মিলতে পারে।
আদা
খাওয়া ভালো না, কারণ এটি পেটের সমস্যা তৈরি করে ও হার্ট বার্নও করে। তাই সামান্য আদা দিয়ে দিনে একবার কয়েকদিন চা বা সরবত খেলে উপশম পাওয়া যেতে পারে।