ভাসানচরে আবাসন ব্যবস্থা দেখে সন্তুষ্ট রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দল
1 min readরোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য নোয়াখালীর ভাসানচরে যে স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে, সেটি দেখে সন্তুষ্ট কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির থেকে যাওয়া রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধি দল। এক কথায়, ভাসানচরে আতিথেয়তায় মুগ্ধ রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দল। তবে সেখান থেকে ফিরে পুরো অভিমত প্রকাশ করতে চান রোহিঙ্গা নেতারা।
ভাসানচর পরিদর্শনকারী রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত তারা যেটুকু দেখেছেন এতে রোহিঙ্গাদের জন্য আয়োজনের কোন কমতি রাখেনি বাংলাদেশ সরকার। পরিকল্পিত, সাজানো গোছানো সব আয়োজন আকৃষ্ট করেছে রোহিঙ্গা নেতাদের।
এখন প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্দেশ্যে দ্বীপটি দেখতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলটিকে। ভাসানচর থেকে ফিরে কক্সবাজারের ক্যাম্পে আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্প সম্পর্কে ধারণা দেবেন প্রতিনিধি দলের রোহিঙ্গা নেতারা। ৮ সেপ্টেম্বর ভাসান চর থেকে প্রতিনিধি দলের কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচরে আশ্রয় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সরকার। জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাস থেকে সেখানকার ৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা রক্ষা করতে ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধ এবং এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের এক সভায় ভাসানচরের জন্য নেওয়া প্রকল্পের খরচ ৭৮৩ কোটি টাকা বাড়িয়ে তিন হাজার ৯৫ কোটি টাকা করা হয়েছে। বাঁধের উচ্চতা ১০ ফুট থেকে বাড়িয়ে ১৯ ফুট করা, আনুষঙ্গিক সুবিধা বৃদ্ধিসহ জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের জন্য ভবন ও জেটি নির্মাণ করা হবে।