বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হলো সিলেট-সুনামগঞ্জ
1 min readপাহাড়ি ঢলের সঙ্গে ভারি বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা। পানি এখন বাড়িঘরের ছাদ ছুঁই ছুঁই। জেলায় পানিবন্দি প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি দপ্তর, হাটবাজার—সবই পানির নিচে। কোথাও গলা পানি, কোথাও তার চেয়েও বেশি। এমতাবস্থায় সিলেট ও সুনামগঞ্জ দুই জেলার সবগুলো বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে এই দুই জেলা এখন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কয়েকটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় শনিবার বেলা ১২ টার পরে এই দুই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষ অন্ধকারে। মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক থেকেও মানুষ বিচ্ছিন্ন। কেউ কারো সঙ্গে ঠিকমতো যোগাযোগ করতে পারছে না। পানিবন্দি অবস্থা থেকে বাঁচতে মানুষ আকুতি জানাচ্ছে। নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে স্বজনরা দুশ্চিন্তায়। পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় বন্যা বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল দুপুর থেকে উদ্ধার তৎপরতায় মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী।
জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বন্যা আক্রান্ত সুনামগঞ্জ শহর, সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক ও জামালগঞ্জ উপজেলা। সুনামগঞ্জ শহরের একতলা সব বাসায়ই পানি। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের যোগাযোগের সড়কও। ফলে সুনামগঞ্জের একেকটি উপজেলা পরিণত হয়েছে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে।
জেলার ছাতক উপজেলার খুমনা এলাকার বাসিন্দারা বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। পুরো এলাকায় ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে আছে সাপসহ বিভিন্ন পোকামাকড়ের ভয়। কী পরিমাণ মানুষ পানিবন্দি আছে এমন কোনো তথ্য নেই জানিয়ে জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, সব জায়গায় পানি। জেলার সব মানুষই পানিবন্দি। ফলে আলাদা করে এখন পানিবন্দি কতজন, তা গুণে দেখা সম্ভব নয়।