ফরচুন বরিশাল: গতবার রানার্সআপ, এবার?
1 min read
আফগানিস্তানের ইব্রাহিম জাদরান, রহমানউল্লাহ গুরবাজ, করিম জানাত, নভিন-উল-হকরা ফিরে যেতে পারেন মাত্র দুটি ম্যাচ খেলেই। শ্রীলঙ্কার কুশল পেরেরারও প্রায় একই রকম অবস্থা। দলে আছেন ইফতিখার আহমেদ, হায়দার আলী, মোহাম্মদ ওয়াসিমের মতো কয়েকজন পাকিস্তানি ক্রিকেটারও। তাঁদেরও পুরোটা সময় পাবে না বরিশাল।

অবশ্য রাকিম কর্নওয়ালকে বরিশাল পেতে পারে লিগজুড়েই। সর্বশেষ ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ব্যাটিংয়ে বেশ ভালো ফর্মে ছিলেন রানার্সআপ বার্বাডোজ রয়্যালসের হয়ে ওপেন করা কর্নওয়াল। বোলিংয়েও সময়টা খারাপ যায়নি তাঁর। এ ছাড়া বিপিএলে পরিচিত মুখ কেসরিক উইলিয়ামসও আছেন বরিশালে। আমাদের দলটি খুবই ভালো হয়েছে। সাকিব ভাই আছেন, মাহমুদউল্লাহ ভাই, আমি আছি। ইবাদত আছে, খালেদ আছে। জাতীয় দলের অনেকেই আছে। আশা করছি চ্যাম্পিয়ন হবো। আমি বিপিএলে যতদিন খেলেছি, দুবার ফাইনাল খেলে একবারও চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। ইনশাআল্লাহ, আশা করি এবার চ্যাম্পিয়ন হবো।
বরিশালের অন্যতম শক্তির জায়গা হতে পারে নেতৃত্বও। জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব তো আছেনই, সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও সহায়তা করতে পারেন এ ক্ষেত্রে। স্থানীয় কোচ মিজানুর রহমানের ওপর আস্থা রেখেছে বরিশাল।
শক্তি
অফুরন্ত স্পিন অপশন!
সাকিব, মিরাজ, কর্নওয়াল—স্পিন আক্রমণ হিসেবে যেকোনো প্রতিপক্ষের জন্যই হুমকি। ঘরোয়া ক্রিকেটে পরীক্ষিত সানজামুল ইসলাম আছেন, বরিশালে খেলার কথা পাকিস্তানি লেগ স্পিনার উসমান কাদিরেরও। এ ছাড়া সাকিবের হাতে অপশন হিসেবে আছেন মাহমুদউল্লাহ, শ্রীলঙ্কার চতুরঙ্গা ডি সিলভাও। হাত ঘোরাতে পারেন ইফতিখার আহমেদও।
দুর্বলতা
দায়িত্ব নিতে পারবেন ইবাদত-খালেদরা?
নভিন, ওয়াসিমদের না পাওয়া গেলে পেসের দায়িত্ব গিয়ে পড়বে মূলত ইবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদ ও কামরুল ইসলামের ওপর। কামরুল গত মৌসুমে খুলনার হয়ে ৭ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন, তবে ওভারপ্রতি খরচ করেছিলেন ১০-এর ওপর রান। ইবাদত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির মঞ্চে এসে গেছেন কিছুটা হঠাৎ করেই, তবে সীমিত ওভারে এখনো প্রাথমিক ধাপেই আছেন এ পেসার। দীর্ঘ সংস্করণে নিয়মিত হলেও চ্যালেঞ্জ আছে খালেদের সামনেও।
যাঁর ওপর চোখ
মেহেদী হাসান মিরাজ
‘এখানে আমার অধিনায়ক সাকিব ভাই আছেন। ভাই বলেছেন বিপিএলে ওপেন করাবেন। দোয়া করবেন, এবার যেন টি–টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরিটা করতে পারি।’ গত ৩১ ডিসেম্বর তীর-প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কার অনুষ্ঠানে বলেছিলেন বর্ষসেরা রানারআপ হওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ। এর আগে জাতীয় দলেও তাঁকে ওপেনিং করানোর চেষ্টা করা হয়েছে, এবার বিপিএলে সেটি করবেন বলে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। গত বছরটা জাতীয় দলে দুর্দান্ত কেটেছে তাঁর। সর্বশেষ ভারত সিরিজেও ব্যাটিংয়ের সামর্থ্যের জানান দিয়েছেন ভালোভাবেই। বিপিএলের গত আসরে চট্টগ্রামের হয়ে নেতৃত্ব নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন, এবার সে চাপ নেই। বিপিএলে দুর্দান্ত এক মিরাজকে দেখার আশা করাই যায়!