প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ার প্রত্যয়
1 min readদুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ে তোলার শপথ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজস্ব উদ্যোগে ‘শুদ্ধাচার’ ও এর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার অ্যানুয়াল পারফমেন্স এগ্রিমেন্ট (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠান-২০২০-এ প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশে ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য আপনাদেরই শুদ্ধাচারের পরিকল্পনা করতে হবে। কীভাবে তা বাস্তবায়ন করা যায় সেই উপায়ও বের করতে হবে। এই পরিকল্পনা তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছাতে ও তা সফলভাবে কার্যকর করতে হবে। আর যারাই এটা করতে পারবেন, তাদের পুরস্কৃত করা হবে।
এ সময় তিনি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের দুর্নীতি থেকে মুক্ত থাকার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে জনগণের পাশে থাকারও নির্দেশ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা যখন কোনো কাজ করবেন, তখন তা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করবেন। কে কী বলল বা কে কী লিখলো সেদিকে কান দেবেন না। এসব দিকে কান দিলে কোনো কাজই করতে পারবেন না। তিনি আরো বলেন, দেশে কিছু মানুষের স্বভাবই হচ্ছে অন্যের সমালোচনা করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা সামান্য ভুল হলেই অনেক কিছু বলেন (পান থেকে চুন খসলেই সমালোচনা করেন)। কিন্তু তারা দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিজেরা কিছুই করেন না।
সরকারপ্রধান বলেন, আপনাদের (সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী) আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সঠিক কাজটি করে যেতে হবে। জনগণের পাশে থাকা প্রতিটি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর দায়িত্ব। আমরা জনগণের কাছে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আর যারা সরকারি চাকরি করেন তারাও জনগণের সেবা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
দেশে করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। সরকার প্রাথমিক পর্যায়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে কোভিড-১৯ কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে। অনেকেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সমালোচনা করেন, কিন্তু মন্ত্রণালয় যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা আরো বলেন, এটা মাথায় রাখতে হবে; চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত কর্মীরা কাজ না করে বসে থাকেননি, তারা নিরলসভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কোভিড-১৯ মোকাবিলা করছেন। অনেক চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে মারা গেছেন।