পাহাড়ি নদীর ডুবলো ২০০ হেক্টর জমির ধান
1 min readসুনামগঞ্জে টাঙ্গুয়ার হাওরপাড়ের কৃষকরা স্বেচ্ছাশ্রমে টানা দুদিন কাজ করেও রক্ষা করতে পারলেন না নজরখালি বাঁধ। বাঁধ ভেঙে কৃষকদের সামনেই ভেসে গেছে তাদের সোনার ফসল। শনিবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় পাহাড়ি নদী পাটলাইয়ের পানি বেড়ে নজরখালি বাঁধ ভেঙে যায়। ফলে চোখের পলকে ডুবে যায় ৮২ গ্রামের কৃষকদের প্রায় ২০০ হেক্টর জমির ফসল।
জানা গেছে, টাঙ্গুয়ার জলাভূমির হাওর হিসেবে খ্যাত হলেও হাওরের কান্দাগুলোতে প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে জয়পুর, গোলাবাড়ি, মন্দিয়াতা, রংচি ও স্বপনগরসহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা বোরো ধান চাষাবাদ করেছেন। তবে বাঁধ ভেঙে পাহাড়ি নদীর পানি ঢুকলে ফসল ডুবে যেতে পারে, এমন শঙ্কায় ছিলেন কৃষকরা।
হাওরপাড়ের গোলাবাড়ি গ্রামের কৃষকরা বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নজরখালি বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি ঢুকেছে। ৮২ গ্রামের মানুষের কষ্টের ফসল বোরো ধান তলিয়ে যায়। আমরা শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ধর্মপাশার রংচি, রূপনগর ও অন্যন্য গ্রামের প্রায় শতাধিক লোক নজরখালি, নাওটানা ও গনিয়াকুড়ি গ্রামের মানুষ বাঁধটি যাতে না ভাঙে সেজন্য স্বেচ্ছায় কাজ করেছি।
স্থানীয় কৃষক সামির মিয়া বলেন, ঋণ করে এই বছর বোরো ধান করেছিলাম কিন্তু আগাম নদীর পানি এসে বাঁধ ভেঙে আমার ধান তলিয়ে নিয়ে গেছে। এখন আমি ঋণ কী করে শোধ করবো এবং সংসার কী করে চালাব সেই চিন্তায় আছি।
কৃষক তাজির মিয়া বলেন, ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতাম। চাকরি ছেড়ে গ্রামে এসে বোরো ধান চাষ করেছি। স্বপ্ন ছিল বৈশাখে ধান তুলে মেয়ের বিয়ে দেবো। কিন্তু সেই স্বপ্ন এখন পানিতে তলিয়ে গেলো।তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ‘টাঙ্গুয়ার হাওরে বোরো চাষাবাদ খুবই কম। নজরখালি বাঁধ ভেঙে ২০০ হেক্টরের মতো ধান ডুবেছে। এ বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় শনি ও মাটিয়ান হাওরের বাঁধের ওপর চাপ কমেছে।’