পাকা কাঁঠালের যত উপকারিতা
1 min readশুরু হয়েছে মধুমাস। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচুর মতো মিষ্টি আর রসালো ফলের দেখা মিলতে শুরু করেছে। ক’দিন পরেই এসব ফলের গন্ধে ম ম করবে চারপাশ। কাঁচা কাঁঠাল আমরা বিভিন্ন ভাবে রান্না করে খেয়ে থাকি। এবার কাঁচা কাঁঠালের পালা শেষে, এবার পাকা কাঁঠালের রসে ডুব দেয়ার পালা। কাঁঠাল পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
তাছাড়া নানান পুষ্টিগুণে পুরোপুরি ভরপুর কাঁঠাল। কাঁঠাল আমাদের শরীরে ভিটামিন ‘এ’ এর চাহিদা পূরণ করে। যার কারণে অপুষ্টিজনিত সমস্যা রাতকানা এবং রাতকানা থেকে অন্ধত্ব প্রতিরোধ করার জন্য খুবই উপযোগী ফল। শুধু যে অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে তা কিন্তু নয়, এর রয়েছে আরো অনেক গুণ। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সে সম্পর্কে-
>> কাঁঠালে চর্বির পরিমাণ নিতান্ত কম। এই ফল খাওয়ার কারণে ওজন বৃদ্ধির আশংকা কম।
>> কাঁঠাল পটাশিয়ামের উৎকৃষ্ট উৎস। ১০০ গ্রাম কাঁঠালে পটাশিয়ামের পরিমাণ ৩০৩ মিলিগ্রাম। যারা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এ জন্যে কাঁঠালে উচ্চ রক্ত চাপের উপশম হয়।
>> কাঁঠালে প্রচুর ভিটামিন এ আছে, যা রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।
>> কাঁঠালের অন্যতম উপযোগিতা হল ভিটামিন সি। প্রাকৃতিকভাবে মানবদেহে ভিটামিন “সি” তৈরি হয় না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দাঁতের মাড়িকে শক্তিশালী করে ভিটামিন “সি”।
>> কাঁঠালে বিদ্যমান ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস- আলসার, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ এবং বার্ধক্য প্রতিরোধে সক্ষম।
>> কাঁঠালে আছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের দেহকে ক্ষতিকর ফ্রির্যাডিকেলস থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও আমাদেরকে সর্দি-কাশি রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
>> টেনশন এবং নার্ভাসনেস কমাতে কাঁঠাল বেশ কার্যকরী।
>> বদহজম রোধ করে কাঁঠাল।
>> কাঁঠালে আছে বিপুল পরিমাণে খনিজ উপাদান ম্যাঙ্গানিজ যা রক্তে শর্করা বা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
>> কাঁঠালে বিদ্যমান ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়ামের মতো হাড়ের গঠন ও হাড় শক্তিশালী করণে ভূমিকা পালন করে।
>> কাঁঠালে আছে ভিটামিন বি৬ যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
>> কাঁঠালে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম কেবল হাড়ের জন্য উপকারী নয় রক্ত সংকোচন প্রক্রিয়া সমাধানেও ভূমিকা রাখে।
>> চিকিৎসা শাস্ত্র মতে প্রতিদিন ২০০ গ্রাম তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে গর্ভবতী মা ও তার গর্ভধারণকৃত শিশুর সব ধরনের পুষ্টির অভাব দূর হয়।
>> দুগ্ধদানকারী মা তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।