পদ্মা সেতুর ৩৪ তম স্প্যান : দৃশ্যমান ৫ দশমিক ১০ কিলোমিটার
পদ্মা সেতুতে ৩৩ তম স্প্যান বসানোর ৬ দিনের ব্যবধানে মাওয়া প্রান্তে ৭ ও ৮ নম্বার পিলারের ওপর বসানো হলো ৩৪ স্প্যান। একটি স্প্যান বসানোর পরে সবচেয়ে কম সময়ের ব্যবধানে এই স্প্যানটি বসানো হলো। এই স্প্যানটি বসনোর মধ্যে দিয়ে দৃশ্যমান হলো সেতুর ৫ দশমিক ১০ কিলোমিটার।
রোববার (২৫ অক্টোবর) সকাল দশটার সময় ৩৪ তম স্প্যান বসানো হয়েছে বলে বার্তা২৪.কমেকে জানিয়েছেন পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের।
তিনি বলেন, শনিবার ২৪ অক্টোবর মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেনে ৩ হাজার ১৫০ টন ওজনের ৩৪ তম স্প্যানটি নিয়ে আনা হয়েছিলো মাওয়া প্রান্তের ৭ ও ৮ নম্বর পিলারের কাছে। তারপর আবহাওয়া আমাদের অনুকূলে থাকায় স্প্যানটি আজ সকালে বসানো হয়েছে।
এদিকে, ৩৪তম স্প্যানটি বসানোর ফলে ৪১টি স্প্যানের মধ্যে এখন আর বাকি থাকল ৭টি স্প্যান। মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে বাকি ৭ স্প্যান পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা গেছে।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের পুরো সেতুতে মোট পিলারের সংখ্যা ৪২ টি। সবগুলো পিলারের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানো হচ্ছে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ। বর্তামানে সেতুর কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯০ ভাগেরও বেশি।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই বাকি সবগুলোই স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়ে কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন। তারেই ধারাবাহিকতায় এই মাসের ৩০ তারিখে দিকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ৩৫ তম স্প্যান বসানো হতে পারে বলে জানা গেছে।
এর আগে, এই মাসের ১১ অক্টোবর ৩২ তম, ১৯ অক্টোবর ৩৩ তম এবং আজ ২৫ অক্টোবর ৩৪ স্প্যান বসানো হলো।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দ্বিতল পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে গৃহীত এই প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮১ দশমিক ৫০ ভাগ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৮৭ দশমিক ৫৫ ভাগ। নদী শাসন কাজের বাস্তব অগ্রগতি ৭৪ দশমিক ৫০ ভাগ। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত মোট ব্যয় হয়েছে ২৩ হাজার ৭৯৬ দশমিক ২৪ কোটি টাকা।