দেশে শিক্ষিতদের এক-তৃতীয়াংশই বেকার
1 min read
এসএসসি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী তরুণদের এক-তৃতীয়াংশ পুরোপুরি বেকার। গত ডিসেম্বরে এ সম্পর্কিত একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। সরকারি স্বায়ত্তশাসিত গবেষণা সংস্থা ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান’ বা বিআইডিএস-এর গবেষণার ফল বলছে, দেশে এসএসসি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী তরুণদের এক-তৃতীয়াংশ (৩৩.১৯ শতাংশ) পুরোপুরি বেকার। ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সি ১৫ হাজার ২৫ জন শিক্ষিত তরুণ ফেসবুক ও ইমেলের মাধ্যমে এই জরিপে অংশ নেন।
ওই জরিপে বলা হচ্ছে, শিক্ষাজীবন শেষে এক থেকে দুই বছর পর্যন্ত বেকার ছিলেন ১১.৬৭ শতাংশ, দুই বছরের চেয়ে বেশি সময় ধরে বেকার ১৮.০৫ শতাংশ এবং ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত বেকার ১৯.৫৪ শতাংশ।
সবচেয়ে বেশি বেকার স্নাতকেরা
গবেষণা বলছে, প্রায় ৩৬.৬ শতাংশ স্নাতক ডিগ্রিধারী বেকার। স্নাতকোত্তরদের মধ্যে এই হার ৩৪.৩ শতাংশ। আর এসএসসি ও এইচএসসি পাস করাদের মধ্যে বেকারত্বের হার যথাক্রমে ২৬.৭৯ ও ২৭.৯৫ শতাংশ।
পড়াশোনা শেষ করার ছয় মাসের মধ্যে চাকরি পেয়েছেন অর্ধেক তরুণ (৫০.৭৪)। ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে ৩১ শতাংশকে। আর ১৮ শতাংশ তরুণকে দুই বছরের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে।
দুইবছর পরও বেকার
মাস্টার্স পাস করার দুই বছর পরও বেকার ছিলেন ১৯.২১ শতাংশ। অনার্সের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ৮.৭৩ শতাংশ। অনার্সে প্রথম শ্রেণি পাওয়াদের ১৭.২১ শতাংশ শিক্ষার্থী দুই বছরেরও বেশি সময় কর্মহীন অবস্থায় ছিলেন। মাস্টার্সের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি আরও বেশি, ২৬.৮ শতাংশ!
উচ্চ বেতন
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা মাস্টার্স পাস করেছেন তাদের ২৮.৭৫ শতাংশের মাসিক বেতন ৪০ হাজার টাকার উপরে। আর অনার্স ডিগ্রিধারীদের ১৮.২ শতাংশ মাসে ৪০ হাজারের বেশি বেতন পান। অর্থাৎ মাস্টার্স করলে বেশি বেতনে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মাস্টার্স পাস করে মাসিক ১০ হাজার টাকার নীচে বেতনে চাকরি করছেন ৫.৯২ জন। আর ১১.৪৩ শতাংশ অনার্স ডিগ্রিধারীর বেতন মাসে ১০ হাজার বা তার চেয়ে কম। সূত্র: ডয়চে ভেলে।