দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ
1 min readদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুবাধে কাজ করার জন্য এখনই উপযুক্ত সময়। নিরিবিলি পরিবেশে কাজগুলো শেষ করা যেতে পারে। এর জন্য যত অর্থ সংকুলান লাগে সব সরকার থেকেই করে দেয়া হবে।
আজ বুধবার নিজ সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিপিএটিসির প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের ২০ তলা বিশিষ্ট ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন’ এর নকশা এবং ‘ময়মনসিংহ বিভাগীয় সদর দপ্তর স্থাপনের জন্য প্রস্তাবিত প্ল্যানের ভূমি ব্যবহার’ পরিকল্পনার উপস্থাপনা দেখার সময় তিনি এসব নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ হোক এবং বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে। তার সেই স্বপ্নকে সঙ্গে নিয়েই বাংলাদেশটাকে সেভাবে গড়ে তুলতে হবে। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলতে চাই, তার আকাঙ্খা পূরণে দারিদ্র্যমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত, উন্নত, শিক্ষিত, আধুনিক বিজ্ঞান জ্ঞানসম্পন্ন একটা জাতি হিসেবে বাঙালি জাতিকে গড়ে তুলবো এবং বাংলাদেশটাকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা করবো।
পাবলিক লাইব্রেরি নতুন করে তৈরি করার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, পাবলিক লাইব্রেরিটা অনেক পুরনো হয়ে গেছে। অডিটোরিয়াম থেকে শুরু করে সবকিছুই জরাজীর্ণ। আর সেখানে ন্যাশনাল মিউজিয়ামটা ঠিকই থাকবে যেভাবে আছে ওটা থাকুক। কিন্তু পুকুরটাকে সুন্দর করতে হবে। পুকুরটার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পাবলিক লাইব্রেরির একটা ল্যান্ডস্কেপ করে সেখানেও খুব সুন্দরভাবে একটা মর্ডার্ন পাবলিক লাইব্রেরি, অডিটোরিয়াম এবং সাইবার ক্যাফে তৈরি করে নতুনভাবে সাজানো যেতে পারে।
সরকার প্রধান বলেন, এই জরাজীর্ণ স্থাপনাগুলোর নির্মাণকাজ যদি খুব দ্রুত শুরু করা যায়, তাছাড়া এখন করোনার কারণে অনেক কাজ স্থবির হয়েছে। কিন্তু এই সময়ে এ কাজগুলো শুরু করতে পারলে তা শেষও করা যাবে খুব তাড়াতাড়ি। এর জন্য যা অর্থ লাগে সরকার দেবে। যেহেতু এখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, এটাই হচ্ছে সব থেকে ভালো সময় কাজ করার। নিরিবিলি কাজগুলো করা যেতে পারে।
এ সময় নির্মাণ কাজগুলো তদারকি এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের কর্মকর্তাদেরও নির্দেশনা দেন সরকার প্রধান।