কেন আজান-ইকামত দেবেন নবজাতকের কানে
1 min readসন্তান-সন্তুতি মহান আল্লাহর সেরা দান। মা-বাবার কাছে সন্তান অপেক্ষা দামি কোনো কিছুই নেই। নবজাতকের যত্ন ও নিরাপত্তায় মা-বাবার চেষ্টা তুলনাহীন। জন্মের পরপরই নবজাতকের কানে আজান ও ইকামত দেয়া হয়। কিন্তু কেন এ আজান দেয়া হয়? এ সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনাই বা কী?
জন্মের পরপর নবজাতককে গোসল দেয়ার পর ডান কানে আজান এবং বাম কানে ইকামত দেয়া অন্যতম জরুরি কাজ। এতে রয়েছে সন্তান-সন্তুতির জন্য কল্যাণ ও উপকারিতা। নবজাতকের গোসলের পর ডান কানে আজান এবং বাম কানে ইকামত দেয়ার ব্যাপারে হাদিসের নির্দেশনা রয়েছে। হাদিসে এসেছে-
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহ আনহু বর্ণনা করেন, হজরত হাসান ইবন আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুর জন্মগ্রহণের দিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামাত দিয়েছিলেন।’ (বায়হাকি)
জন্মের সঙ্গে সঙ্গে সন্তান-সন্তুতির কানে আজান ও ইকামতের মাধ্যমে মহান আল্লাহর পবিত্র নাম, তাওহিদ ও রেসালাতের ঘোষণা পৌঁছে দেয়া হয়। যাতে এ আজান ও ইকামতের প্রভাবে নবজাতকের ঈমানের ভিত্তি সুদৃঢ় ও মজবুত হয়। আর শয়তানের আক্রমণ থেকে নবজাতক থাকে নিরাপদ।
ইসলামিক স্কলারদের মতে, অধিকাংশ সময় নবজাতক থেকে শুরু করে সন্তান-সন্তুতি বড় হয়ে গেলেও তারা বদ-নজর ও জ্বিনের আক্রমণের শিকার হয়। জানা যায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জন্মের সময় তাদের কানে আজান-ইকামত দেয়া হয়নি। আর এ আজান ও ইকামতের ফলেই বদ-জ্বিনের আক্রমণ থেকে নবজাতক রক্ষা পায়।
সুতরাং সন্তান জন্মের পরপরই নবজাতক ছেলে হোক কিংবা মেয়ে, উভয়ের ডান কানে আজান এবং বাম কানে ইকামত দেয়া জরুরি। যার ফলে আল্লাহ তাআলার ইচ্ছায় ওই নবজাতক অনেক রোগ-ব্যধি, জাদু-টোনা ও জ্বিন-ভুতের আক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের অনুসরণ ও অনুকরণে নবজাতক সন্তানের ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দেয়ার মাধ্যমে সুন্নাতের যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। যাবতীয় অকল্যাণ থেকে হেফাজত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।