‘ইউক্রেনে আক্রমণে ১ লাখ ৭৫ হাজার সৈন্য প্রস্তুত রাশিয়ার’
1 min readইউক্রেন আক্রমণের প্রস্তুতিতে বিপুল প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। আগামী বছরের শুরুতে সম্ভাব্য এই আক্রমণের জন্য এক লাখ ৭৫ হাজার সৈন্য প্রস্তুত করছে রুশ সরকার।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্টে মার্কিন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও এক গোয়েন্দা নথির বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধের প্রস্তুতিতে রাশিয়া ইতোমধ্যেই অর্ধেক সৈন্যকে ইউক্রেন সীমান্তে মোতায়েন করেছে।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, ‘রাশিয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের শুরুতে এক সামরিক আগ্রাসন শুরু করা। গত বসন্তে ইউক্রেন সীমান্তের নিকট রাশিয়ার মহড়ায় অংশগ্রহণকারী বাহিনীর তুলনায় দ্বিগুন শক্তি নিয়ে এতে হামলা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই পরিকল্পনার মধ্যে অন্তত এক লাখ ৭৫ হাজার সৈন্যের এক শ’ যুদ্ধকৌশলগত দলকে প্রস্তুত করা যা সাঁজোয়া যান, গোলন্দাজ ও অন্য সরঞ্জাম থাকবে।’
অপরদিকে ওয়াশিংটন পোস্টের হাতে পাওয়া এক গোপন গোয়েন্দা নথির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে জানানো হয়, বর্তমানে ইউক্রেন সীমান্তে চার এলাকায় রাশিয়া সৈন্য মোতায়েন করছে।
ওই নথিতে সংশ্লিষ্ট এলাকার স্যাটেলাইটে ধারণ করা চিত্রও সংযুক্ত করা হয়।
নথির তথ্য অনুসারে, বর্তমানে ৫০টি যুদ্ধকৌশলগত দল ওই এলাকাগুলোতে অবস্থান করছে।
এর আগে শুক্রবার ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ৯৪ হাজার সৈন্য মোতায়েন করে রেখেছে।
তিনি সতর্কতা করেন, জানুয়ারিতে মস্কো এক বড় আকারের হামলা শুরু করতে পারে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন চালানোকে ‘প্রচণ্ড কঠিন’ করে তুলতে বিবিধ পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
শুক্রবার হোয়াইট হাউজে এক ভাষণে বাইডেন বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি ব্লিনকেন ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক স্যুলিভানের মাধ্যমে তিনি প্রতিনিয়ত ইউরোপে মার্কিন মিত্রদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন।
এদিকে রুশ প্রেসিডেন্টের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ মস্কোতে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘অল্প কিছুদিনের মধ্যেই’ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে এক অনলাইন বৈঠকে মিলিত হবেন।
বৈঠকে দুই নেতা গত জুনে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় মার্কিন-রুশ সম্মেলনের সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং আফগানিস্তান, ইরান, ইউক্রেন, লিবিয়া ও সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানান তিনি।