আপাতত ১ লাখ রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
1 min readআপাতত ১ লাখ রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি আরো বলেন, তবে চূড়ান্ত লক্ষ্য রাখাইনে ফেরানো (প্রত্যাবাসন)। এ নিয়েই ঢাকার সব তৎপরতা।
মঙ্গলবার রাজধানীর রমনার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন’র খসড়ার ওপর আলোচনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
রোহিঙ্গাদের ফেরানোর প্রক্রিয়া যেকোনো সময় শুরু করতে বাংলাদেশ প্রস্তুত জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে নতুন সরকার গঠনের পরই প্রত্যাবাসন বিষয়ে পুনরায় আলোচনা শুরু হবে। বাংলাদেশ এরই মধ্যে চীনসহ প্রত্যাবাসন সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে নতুন করে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে।
করোনা মহামারির কারণে গত ২০শে জানুয়ারির পর রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলাপ-আলোচনা বন্ধ ছিল জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, পরবর্তীতে মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়। ৮ নভেম্বর নির্বাচন শেষ হয়েছে। অং সান সুচির জোট নির্বাচনে পুনরায় জয়ী হয়েছে। এখন তারা সরকার গঠনের প্রস্তুতিতে রয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকটকে ‘বড় সমস্যা’ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ সংকটের টেকসই সমাধানে বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক এবং বহুপক্ষীয় সব ফ্রন্টেই যোগাযোগ রাখছে। প্রত্যাবাসন বিষয়ে আলোচনায় বাংলাদেশ-চীন-মিয়ানমার ত্রিদেশীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের একটি বৈঠক বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ শুধু চীনের দিকে চেয়ে নেই। জাপান, বৃটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো বাংলাদেশের অনেক বন্ধু এ সংকট নিরসনে মিয়নমারের ওপর নতুন করে চাপ বাড়িয়েছে। বৈশ্বিক চাপে মিয়ানমার বারবার প্রত্যাবাসনে রাজি থাকলেও দুর্ভাগ্যজনক তারা এখনও তাদের বাস্তুচ্যুত একজন নাগরিককেও ফিরিয়ে নেয়নি।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার। এতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম নাহিদ, এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস, আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।