অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সংকেত সতর্কতা-মিজানুর রহমান
1 min readবিশ্বময় একনাগাড়ে ভিত নাড়ানো কোভিড ‘ ১৯ এর দুঃখ – যন্ত্রণার রেশ শেষ না হতেই আর এক অসহনীয় অর্থনৈতিক টানা পোড়েনের অশনি সংকেতের আলামত পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিশ্বে নানাবিধ ব্যবসা বানিজ্যের অর্থনৈতিক সংকট দৃশ্যমান হচ্ছে।
নিম্ম মধ্যম আয়ের দেশ হতে শুরু করে উন্নয়ন শীল সকল দেশ গুলোই এ সংকটের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের প্রতিটি দেশ এখন গোøবাল ভিলেজের সাথে সম্পৃক্ত। প্রতিটি দেশ পারস্পরিক স্বার্থের প্রয়োজনে একে অপরের সাথে আর্থসামাজিক ভিত্তির উপর নির্ভরশীল।
রাশিয়া – ইউক্রেন সংকটে এখন প্রতিটি দেশ ব্যাবসা বানিজ্য ও আর্থিক সংকটের ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখোমুখি অবস্থানে।
অর্থনৈতিক বিষয়ে, বাংলাদেশের সীমাবদ্ধতা আছে। তদুপরি, কোভিড ‘১৯ এর বিপর্যয় মোকাবিলা করতে গিয়ে, রাষ্ট্র নানা খাতে প্রনোদনার ব্যাবস্থা করেছে বিধায়, উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয় নি।
আবার ইউক্রেন – রাশিয়ার এই সংকট, দীর্ঘমেয়াদি হলে বহু দেশই মহা বিপর্যয়ের কবলে পতিত হবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সহ বহু দেশে দ্রব্যমূল্য উর্ধমূখী। ব্যাবস্থাপনার সমন্বয় করতে না পারলে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখা কঠিন হয়ে যেতে পারে। ব্যাবসায়ীদের এই সাময়িক সংকট মোকাবেলায় আন্তরিক হতে হবে ।
রপ্তানী প্রক্রিয়া ব্যহত হওয়ার জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশ হতে এক বিলিয়ন ডলারের তৈরী পোশাক ইউরোপে পাঠানো যাচ্ছে না। ইউক্রেন বাংলাদেশ হতে সারে চার হাজার মাইল দূরের দেশ হলেও প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বাংলাদেশ। ইউরোপ যেমন বিকল্প জ্বালানীর সন্ধানে আছে, তেমনি আমাদের ইঞ্জিনিয়ারদেরকেও এখন বিকল্প জ্বালানীর সন্ধানে গবেষনা করতে হবে ।
কোভিড অতিমারীতে মুদ্রাস্ফীতি সারে পাঁচের মধ্যে রাখা গেলেও, রাশিয়া আমেরিকা যাতাকলের জন্য তা ধরে রাখা কষ্টকর হবে কিন্তু অসম্ভব নয় । কৃষি আর ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীরা টিকে থাকলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত জিডিপি ধরে রাখা সহজ হবে ।
অর্থনৈতিক এ বিপর্যয় ২/৩ বছর বাংলাদেশকে বেশ ভোগাবে বলে মনে হয়। সুপার পাওয়ারের সমীকরণের কারনে এ বিপর্যয়। সাহসীকতার সাথে এ সংকটের মোকাবিলা করতে না পারলে, পরিস্থিতি সকল দেশের জন্যেই দুঃস্বপ্নের কারন হবে।
দেশের প্রতিটি মানুষ তাদের মাথার উপর একটি ছাদ, তাদের টেবিলে খাবার এবং মাঝে মাঝে মিষ্টির জন্য এক কাপ চা খেতে চায়। নিশ্চয়ই এটির ব্যবস্থা করা যেতে পারে সম্পদ এবং আয়ের সমবন্টনের মাধ্যমে। স্বনির্ভরতার এ যাত্রায় উন্নয়নের রাজনীতিকে দলীয় রাজনীতির উপরে প্রাধান্য দিতে হবে ।
তেলসম্পদ একদিন ফুরিয়ে যেতে পারে, পানির উৎসের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, কিন্তু যতদিন আমাদের মেধা থাকবে , জীবনের পরবর্তী অধ্যায় লেখা হতে থাকবে। আসুন আমরা সবাই মিলে এই অধ্যায় শুরু করার জন্য রাজনীতি করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে সে নির্দেশনাই দিয়েছেন। তিনি আমাদের যে কাঠামো দিয়ে দিয়েছেন সেটা নিয়ে আগালে আমরা জাপানকেও অতিক্রম করতে পারবো।
আমাদের কাারি, দূরদর্শী জননেত্রী শেখ হাসিনার আশীর্বাদে ইনশাআল্লাহ পাহাড়সম সমস্যাকেও ভয় করিনা। আমাদের নিরষ্কুশ আস্থার আশ্রয়স্থল ঠওঝওঙঘ ৪১ এর স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ হাসিনা। কোনো বিপদকেই আমরা ভয় করি না।
মিজানুর রহমান
চেয়ারম্যন ফরচুন গ্রুপ অব কোম্পানীজ