অফিসের কম্পিউটারে এসব ‘ওয়েবসাইট ব্রাউজ’ করলে বিপদে পড়তে পারেন
1 min readএখন বেশিরভাগ অফিসেই কাজ করতে হয় অনলাইনে। বিভিন্ন কারণে হয়তো অনেক ওয়েবসাইটও খুলতে হয় আপনাকে। কাজের ফাঁকে অবসর পেলেই পছন্দের ওয়েবসাইটে ব্রাউজ করেন। তবে মনে রাখুন, অফিসের কম্পিউটারে এমন কোনো ওয়েবসাইট ব্রাউজ করা উচিত নয়, যেটি আপনার কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়।
এমন ইন্টারনেট সার্চ আপনার ব্যক্তিগত কম্পিউটার এর জন্যই বরাদ্দ রাখুন। এতে আপনার গোপনীয়তাও রক্ষা পাবে। কর্মক্ষেত্রে একই কম্পিউটার অনেকেই ব্যবহার করেন। এতে আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপারগুলো অন্যদের কাছে প্রকাশ হওয়ার সম্ভাবনা থকে যায়। এতে গোপনীয়তা রক্ষা তো হবেই না বরং বিতর্কিত বা সমালোচিতও হতে পারেন অফিসে।
আপনি হয়তো সার্চ হিস্ট্রি মুছে ফেলছেন। তাতেও আপনি রক্ষা নাও পেতে পারেন। বেশির ভাগ অফিসেই আইটি বিভাগ কম্পিউটার ব্যবহার সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করেন। ফলে হিস্ট্রি মুছে দিয়েও রেহাই পাবেন না।আবার অনেকেই আছেন কাজের বাইরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশি সময় কাটান। স্বাভাবিকভাবেই অফিসের ঊর্ধ্বতনেরা এটি ভালো চোখে দেখবেন না। এ ছাড়া গান শোনা বা ইউটিউবে ভিডিও দেখার মতো বিষয়গুলো অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।
অনেকে ব্যক্তিগত ব্যবসার ওয়েবসাইট খুলে রাখে অফিসে, কেউ শেয়ারবাজারের নিয়মিত খোঁজ খবর রাখে। এ ছাড়া ডেটিং সাইট, খেলার সাইটে সার্চ তো আছেই। সাপ্তাহিক ছুটিতে ঘোরাঘুরির জন্য কোথায় যাওয়া যায়। সেটাও ঘাঁটতে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
এভাবে অফিসের কম্পিউটারে কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই এমন কোনো ওয়েবসাইটে নিয়মিত ঢুঁ মারা বন্ধ করুন। এটি আপনার ক্যারিয়ারের জন্য নেতিবাচক ধারণা তৈরি করবে। পর্নোগ্রাফি ভিডিও সাইটে একেবারেই যাবেন না। এটা নির্বুদ্ধিতার পরিচয় তো দেবেনই সঙ্গে সম্মানহানিও ঘটবে।
এক প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট অফিস থেকে তিন লাখেরও বেশি পর্নোগ্রাফি সাইটে সার্চ হয়েছে। আপত্তিকর ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার জন্য আপনার চাকরিও চলে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর শহরে এক কর্মচারী বরখাস্ত হয়েছেন মোট কাজের ৩৯ ঘণ্টাই পর্ণ ভিডিও দেখার কারণে। এরমধ্যে একদিন কাজের সময়ে আট ঘণ্টার মধ্যে তিনি ছয় ঘণ্টা পর্ণ দেখে সময় পার করেছেন।
আপত্তিকর ওয়েবসাইট সার্চ করতে গিয়ে সহকর্মীদের কাছে আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হতে পারে। অতএব এমন ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার আগে সতর্ক হোন।