April 23, 2024

ফরচুন নিউজ ২৪

ফুলে স্বাবলম্বী পিরোজপুরের চাষিরা

1 min read

ক্ষুদ্র ঋণে ফুল চাষে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন পিরোজপুরের প্রায় ১৬ হাজার নারী-পুরুষ। বহির্বিশ্বে প্রায় ৩০০ বছর আগে ফুলের সূচনা ঘটে। কিন্তু এ অঞ্চলে ফুলের বাণিজ্যিক আবাদ শুরু হয় প্রায় অর্ধশত বছর আগে।

জেলার স্বরূপকাঠির ছারছিনা, অলংকারকাঠি, আরামকাঠি, জগন্নাথকাঠি, কুনিহারী, পান্নাল্লাপুর, সুলতানপুর, সঙ্গীতকাঠি, মাহামুদকাঠিসহ চারদিকে দুই শতাধিক নার্সারিতে বাহারি রঙের ফুলের সমারোহ।

পল্লীর মাঠজুড়ে ফুটে আছে- ডালিয়া, গাঁদা, বেলি, গোলাপ, রজনীগন্ধা, টিউলিপ, অ্যাস্টার গোলাপ, কলাবতী, জুঁই, জিনিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, পদ্ম, কারনেশন, কসমস, প্যানজি, সূর্যমুখী, স্টারপিটুনিয়া, পপি, অর্কিড, সিলভিয়া, ভারবেন, লুপিংস, ফ্লক্স, পর্তুলিকা, অ্যান্টিরিনাম, মর্নিং ফুল, ক্যালেন্ডলা, গ্লোরি, সুইটপি, ন্যাস্টারশিয়ামসহ শতাধিক ফুল।

ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের জন্য বিখ্যাত স্বরূপকাঠি। এ উপজেলায় মাটি আর আবহাওয়া অনুকূল পরিবেশ থাকায় অর্ধশত বর্ষ আগে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয় এসব ফুলের চাষ।

অন্য ফসলের চেয়ে অধিক লাভের আশায় প্রতিদিন বাড়ছে ফুলের আবাদ, বাড়ছে ফুল চাষি, গ্রামজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে ফুলের আবাদ। সারি-সারি লাল, হলুদ, কমলা আর সাদা রঙের সমাহার দেখতে বিভিন্ন জেলা থেকে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা।

২১ ফেব্রুয়ারি, ১৬ ডিসেম্বরসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবস উদযাপনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও এখানকার ফুল রফতানি করা হয়। স্বরূপকাঠিতে প্রায় ১৫৩ হেক্টর জমিতে প্রায় দেড় শতাধিক নার্সারিতে ১১ হাজার শ্রমজীবী নারী-পুরুষ ফুল চাষে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছেন। এছাড়া জেলার অন্যান্য উপজেলাতেও নারী-পুরুষরা ফুল চাষে ঝুঁকে পড়েছেন।

এখানকার চাষিরা প্রায় ৬০-৭০ বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের বনজ, ফলজ ওষুধি গাছের চারার কলম উৎপাদন করছেন। এসব ওষুধি চারাগুলো এখন ফুল চাষের পাশাপাশি বাগানের চারপাশের কান্দিতে ভরা।

কার্তিক মাসের প্রথম দিকেই ফুলের বীজ রোপণ করা হয়। রোপণের প্রায় ৪০ দিনেই ফুল ফোটে। কিন্তু একটি ফুলের জীবন থাকে চার-ছয়দিন। জীবন ক্ষীণ হলেও বিশ্বজুড়ে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় দিবসগুলোতে সৌন্দর্যের প্রতীক ফুল ছাড়া কোনো অনুষ্ঠানই সম্ভব হয় না।

About The Author