April 23, 2024

ফরচুন নিউজ ২৪

ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন খুসখুসে কাশি

1 min read

প্রচণ্ড গরমে ঘেমে বুকে ঠাণ্ডা লেগে যায়। আর ঠাণ্ডা লেগে গেলে প্রচণ্ড সর্দি-কাশি হয়। সর্দি তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে গেলেও কাশি কিন্তু সহজে ভালো হতে চায় না। সমস্যা হলো জ্বর নেই, কফ বের হওয়া নেই, বুকে ঘড়ঘড় নেই, কিন্তু খুকখুক কাশি।

বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক একটি ব্যাপার। অনেক ক্ষেত্রে আবার কফ জমাট বেঁধে ভয়ানক কাশিও হয়। চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে ঘরোয়া কিছু উপায়ে এই খুসখুসে কাশি দূর করতে পারেন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক খুসখুসে কাশি সারানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে-

লবণ পানি
লবণ পানি বুকের কফ দূর করতে অনেক উপকার করে থাকে। বুকের কফ এমন একটি সমস্যা, যার ফলে ঠিক মতো কথা বলা যাই না এবং মাথা সবসময় ভার হয়ে থাকে। কফ দূর করতে সহজ এবং সস্তা উপায় হল লবণ পানি। লবণ শ্বাসযন্ত্র থেকে কফ দূর করতে সাহায্য করে খুব তাড়াতাড়ি।

এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সঙ্গে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে দিনে দুই তিনবার কুলকুচি করুন। কফ অনেকটা কমে যাবে।

আদা
এক টেবিল চামচ আদা কুচি এক মগ পানিতে মিশিয়ে নিন। এবার এটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৫ মিনিট জ্বাল দিন। এরপর এতে সামান্য মধু মিশে নিন। দিনে তিনবার এই পানীয়টি পান করুন। এছাড়া এক চা চামচ আদা কুচি, গোল মরিচের গুঁড়া, এবং লবঙ্গের গুঁড়া দুধ অথবা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি দিনে তিনবার পান করতে থাকুন। আপনি চাইলে এক টুকরো আদা নিয়ে মুখে চাবাতে পারেন। আদার রস বুকের কফ পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে।

হলুদ
হলুদে থাকা কারকুমিন উপাদান বুক থেকে কফ, শ্লেষ্মা দূর করে বুকে ব্যথা দ্রুত কমিয়ে দেয়। এর অ্যান্টি  ইনফ্লামেটরি উপাদান গলা ব্যথা, বুকে ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।

এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চিমটি হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে প্রতিদিন কুলকুচি করুন। এছাড়া এক গ্লাস দুধে আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে জ্বাল দিন। এর সঙ্গে দুই চা চামচ মধু এবং এক চিমটি গোল মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে  দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন। অনেক উপকার পাবেন।

লেবু মধু
আমরা জানি লেবু ও মধু দেহের জন্য কতটা উপকার। আর এই লেবু পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। মধু শ্বাসযন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এমনকি এটি বুক থেকে কফ দূর করে গলা পরিষ্কার করে থাকে। সুতরাং লেবু এবং মধু কফের কার্যকারী হিসেবে কাজ করে।

রসুন 
কাশি দূর করতে রসুনও কার্যকরী। রসুনে অ্যালিসিন নামের একটি উপাদান আছে যা জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করে, ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে তার বৃদ্ধি আটকায়। আর রসুন শরীর গরমও রাখে। তাই রসুন শুষ্ক কাশি কমাতে খুবই দরকারী। খাওয়ার সময়ে শুরুতে একটু গরম ভাতে তেলে ভিজিয়ে রাখা রসুন চটকে খেয়ে নিন। দেখবেন বেশ কয়েক দিন খেলে উপকার পাবেন।

তুলসি
কাশি সারানোর জন্য তুলসি পাতা খেতে পারলে তা সবচেয়ে ভালো। এক চামচ তুলসি পাতার রস, মধু নিন। তুলসি পাতার রস আর মধু প্রতিদিন সকালে খেয়ে নিন ঘুম থেকে উঠে। এক সপ্তাহ খান। কাশি দূর হবে।

About The Author