April 25, 2024

ফরচুন নিউজ ২৪

আজ জাতীয় কবির ১২২তম জন্মবার্ষিকী

1 min read

জাতীয় কবি এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অন্যতম প্রাণপুরুষ বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২২তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসনসোলের চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তার পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ, মা জাহেদা খাতুন। দরিদ্র পরিবারে জন্মের পর দুঃখ-দারিদ্র্য ছিল তার নিত্যসঙ্গী। তার ডাকনাম ছিল দুখু মিয়া।

বর্তমানে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে জাতীয়ভাবে উন্মুক্তস্থানে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন হচ্ছে না। তবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কৈশোর স্মৃতি বিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশালে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের ঘরোয়া আয়োজনে পালিত হবে বিভিন্ন কর্মসূচি।

প্রতি বছর ২৫ মার্চ থেকে তিন দিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে কবি নজরুলের বাল্য বিদ্যাপীঠ সরকারি নজরুল একাডেমি (সাবেক দরিরামপুর হাইস্কুল) মাঠে আয়োজন করা হতো আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নজরুল মেলা। তবে গত দুই বছর যাবত করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে নেই মেলা বা অন্যকোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন। স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বল্প পরিসরে আয়োজন করা হয়েছে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।

জানা যায়, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাস্কর্য্য উদ্ধোধন করবেন উপাচার্য্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান। পরে ভার্চ্যূয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠান মালার দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনেও ভার্চ্যূয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এছাড়াও স্থানীয়ভাবে ত্রিশালের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন কলধ্বনী সংঘের আয়োজনে অনলাইন লাইভ আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান সংঘের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম জুয়েল।

স্থানীয় শুকতারা সংঘের আয়োজনে কেক কাটা, মোমবাতি প্রজ্জলন ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বলে জানান সংঘের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন শিহাব। অপরদিকে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমিতেও মোমবাতি প্রজ্জলন ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এ বছর সরকারিভাবে কোনো অনুষ্ঠান আয়োজনের নির্দেশনা দেয়া হয়নি। তবে ঘরোয়াভাবে ত্রিশালের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অনুষ্ঠনের আয়োজন করেছে।

উল্লেখ্য, আসানসোলে রুটির দোকানে কর্মরত অবস্থায় ওই সময়ে সেখানে চাকরিরত ছিলেন ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কাজীর শিমলা গ্রামের দারোগা রফিজ উল্লাহ। তিনি তার প্রতিভায় আকৃষ্ট হয়ে লেখাপড়া করানোর জন্য নিয়ে আসেন ত্রিশালের কাজীর শিমলা গ্রামে। সেখান থেকে কবি নজরুল ইসলামকে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করিয়ে দেন দরিরামপুর হাইস্কুলে (বর্তমান সরকারি নজরুল একাডেমি)। পরে কাজীর শিমলা থেকে ত্রিশাল দূর হওয়ায় দারোগা কাজী রফিজ উল্লাহ কবি নজরুল ইসলামকে জায়গির হিসেবে পাঠিয়ে দেন ত্রিশালের নামাপাড়া গ্রামের বিচুতিয়া বেপারীর বাড়ীতে। ওখান থেকেই তিনি ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন।

ত্রিশাল উপজেলার কাজীর শিমলা ও ত্রিশাল নামাপাড়া গ্রামে কবি নজরুল ইসলামের অসংখ্য স্মৃতি বিজড়িত স্থান রয়েছে।

 

About The Author