October 11, 2024

ফরচুন নিউজ ২৪

২ সন্তানের জননী ১০ বছরের বড় আয়েশার সাথে শিখর ধাওয়ানের বিয়ের গল্প!

1 min read

উইকেটকিপিংয়ের মাধ্যমে তার যাত্রা শুরু হয় ক্রিকেটে। তারপর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে। মাঠের বাইরে ব্যক্তিগত জীবনেও ছক ভাঙতে ভালবাসেন শিখর ধাওয়ান। আইপিএলে তার সাম্প্রতিক ফর্মের মতোই ঝোড়ো তার প্রেমপর্ব। তার স্ত্রী আয়েশা মুখার্জী ছিলেন হরভজন সিংয়ের বন্ধু। ফেসবুকে জমজমাট বন্ধুত্ব ছিল তাদের। আয়েশার রূপে মুগ্ধ হয়ে ধাওয়ান হরভজনকে অনুরোধ করেন, তাদের পরিচয় করিয়ে দিতে।

আয়েশা নিজে একজন প্রশিক্ষিত কিক বক্সার। খেলাপাগল আয়েশার সঙ্গে শিখরের বন্ধুত্ব জমে উঠতে দেরি হয়নি। ভারতে জন্মগ্রহণ করা আয়েশার বাবা বাঙালি। মা ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত। তবে শৈশবেই তিনি বাবা মায়ের সঙ্গে চলে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া। সেখানেই বড় হয়েছেন। বাংলা এবং ইংরেজিতে সমান স্বচ্ছন্দ আয়েশা ভালবাসেন রান্না করতে। ইন্টারনেটে চ্যাট করতে করতেই শিখর-আয়েশা বন্ধুত্ব রূপ নেয় প্রেমে।

তখন আয়েশা ডিভোর্সি এবং দুই মেয়ের মা। আয়েশার প্রথম স্বামী ছিলেন এক অস্ট্রেলীয় ব্যবসায়ী। তার সঙ্গে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পরে দুই সন্তান রিয়া এবং আলিয়াকে নিয়ে আলাদা হয়ে যান আয়েশা। তবে শিখরের সঙ্গে প্রেমে এসব বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। ২০০৯ সালে তাদের এগনগেজমেন্ট হয়। তখনও জাতীয় দলে জায়গা পাননি শিখর। পরের বছর জাতীয় দলে তার অভিষেক হয়। তারও ২ বছর পরে ২০১২ সালে বয়সে ১০ বছরের বড় আয়েশাকে বিয়ে করেন শিখর।

জীবনসঙ্গিনী নির্বাচন নিয়ে শিখরকে নিজের পরিবারে যথেষ্ট বাধার মুখে পড়তে হয়। কিন্তু আয়েশাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তে শিখরের পাশে ছিলেন তার মা। বিয়ে করার সময় আয়েশার শর্ত ছিল, তার মেয়েদের সঙ্গে শিখরের সম্পর্ক যেন মসৃণ হয়। আলিয়া এবং রিয়ার সঙ্গে সহজ সম্পর্কের পরেই শিখরকে বিয়ে করেছিলেন আয়েশা। শিখ ধর্মের রীতিনীতি পালন করে তাদের বিয়ে হয়েছিল। বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন বিরাট কোহলি-সহ জাতীয় দলের এক ঝাঁক ক্রিকেটার।

২০১৪ সালে জন্ম হয় শিখর-আয়েশার ছেলে জোরাবরের। দুই মেয়ে এবং এক ছেলেকে নিয়ে শিখর-আয়েশার ভরপুর সংসার। মাঝে মাঝেই আয়েশাকে মেলবোর্ন যাতায়াত করতে হয়। তবে সময় পেলেই তিনি চলে যান স্টেডিয়ামে, স্বামীর খেলা দেখতে। আয়েশার সমর্থন এবং উৎসাহ তাকে সব সময়েই ভালো খেলতে উদ্বুদ্ধ করে বলে জানিয়েছেন শিখর। পাশাপাশি তিনি নাকি বিয়ের পর ক্রিকেটার হিসেবে অনেক বেশি পরিণত হয়েছেন। লেডি-লাক তত্ত্বে অবশ্য বিশ্বাসী নন আয়েশা। তার কথায়, শিখর ক্রিকেট নিয়ে প্যাশনেট এবং নিজের চেষ্টাতেই তিনি উন্নতি করেছেন।

 

About The Author